দাঁইহাট পৌরসভার চেয়ারম্যানের ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড়। চেয়ারম্যান শিশির কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার বদলে নোংরা প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও, প্রেসকার্ড নিউজ সেই অডিও বা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। চেয়ারম্যান শিশির কুমার মন্ডল পুরো ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করছেন। তবে, তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার তিনি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে শিশির মণ্ডলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। দুপুর ১২টার আগেই শিশির মণ্ডল কাটোয়া মহকুমা শাসকের দফতরে ইস্তফা জমা দিতে হাজির হন। কিন্তু সে সময় মহকুমা শাসক তার অফিসে ছিলেন না। ফলে মহকুমা শাসকের দফতরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। অবশেষে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মহকুমা শাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
শিশির মণ্ডল বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, নির্দেশনা মেনে চলবেন। নিজেকে দলের ‘অনুগত সৈনিক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তিনি কখনও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি। ভাইরাল হওয়া তার বক্তব্য অবশ্যই একটি ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, 'আমি চাই সত্য বেরিয়ে আসুক।'
এদিকে দাঁইহাট চেয়ারম্যানের এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় জেলার রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিনি ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। কে চক্রান্ত করছে? এটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বললেও কারা এটা করেছে তা তিনি বলেননি। আসলে, তৃণমূল নিজেদের অপকর্মের জন্য বিপদে পড়ছে।'
এ অডিও ক্লিপ নিয়ে জেলা রাজনীতির অভ্যন্তরীণ মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। বিজেপি নেতারাও এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করছেন। বিজেপি নেতারা বলছেন, এটাই বাংলার তৃণমূল নেতাদের চরিত্র। এতে করে তাদের আসল চেহারা মানুষের সামনে এসেছে।
No comments:
Post a Comment