হিন্দু ধর্মে, গরুড় পুরাণের ভিতরে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো মেনে চললে জীবনের কষ্ট এবং মৃত্যুর পর নরকের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গরুড় পুরাণ: গরুড় পুরাণ সনাতন ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে একটি। এই ধর্মীয় গ্রন্থে ভগবান বিষ্ণু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনেক রহস্যের কথা বলেছেন। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, এই জীবনে কী ধরনের কর্ম করলে মানুষকে মৃত্যুর পর নরকের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এই বিষয়গুলো মেনে চললে আপনি সফল জীবনযাপন করতে পারেন। গরুড় পুরাণে বলা এই জিনিসগুলি জীবনকে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। অন্যদিকে, অন্য ব্যক্তির কিছু ভুল ব্যক্তিকে দরিদ্র করে তোলে।
গরুড় পুরাণ অনুসারে, বাথরুমে কিছু কাজ করলে মানুষ মৃত্যুর পর নরক লাভ করে। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটেও পড়তে হয়। আসুন জেনে নিই গরুড় পুরাণে কোন কাজগুলি না করার কথা বলা হয়েছে।
বাথরুমে ভুল করেও এই কাজটি করবেন না
- গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে আপনি যদি স্নানের পরে বাথরুম নোংরা করে ফেলেন তবে তা আপনাকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে নোংরা বাথরুম একজন ব্যক্তির দুর্ভাগ্যের কারণ হয়। এতে করে চন্দ্র ও রাহু-কেতুর ত্রুটি দেখা দিতে শুরু করে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে, চাঁদকে জলের কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাথরুম জলের উপাদানের সাথে সম্পর্কিত। এমন অবস্থায় বাথরুমে জল ব্যবহার করার সময় বিশেষ খেয়াল রাখুন যেন বাথরুমে পানির অপচয় না হয়। জলের অপচয় একজন মানুষকে দরিদ্র করে তুলতে পারে। এইভাবে, ব্যক্তির কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থান দুর্বল হতে পারে।
- বাস্তুশাস্ত্র এবং গরুড় পুরাণ অনুসারে, একটি ভেজা বাথরুম বাস্তু ত্রুটি তৈরি করে। এক্ষেত্রে স্নানের পর বা বাথরুম ব্যবহারের পর বাথরুমের জল পরিষ্কার করুন। বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে এবং ব্যক্তির উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
- ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে যারা বাথরুমে ময়লা ছড়ায় তাদের রাহু-কেতুর দোষের মুখে পড়তে হয়। বাথরুম নোংরা থাকলে রাহু-কেতুর দোষ ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে বাড়তে থাকে। বলা হয়ে থাকে যে এই দুটি গ্রহ সবসময়ই পিছিয়ে যায়। যার কারণে তারা মানুষের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment