টিভি অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুতে 'লাভ জিহাদ'-এর কোণ সামনে এসেছে। তুনিশার কাকা পুলিশকে 'লাভ জিহাদের' দৃষ্টিকোণ থেকেও তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর তুনিশা তার শো 'আলি বাবা: দাস্তান-ই-কাবুল'-এর সেটে আত্মহত্যা করেছিলেন। মেকআপ রুমে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার প্রাক্তন প্রেমিক, সহ-অভিনেতা শেজান খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুনিশা শর্মার কাকা পবন শর্মা বলেন, “আমি মনে করি এটা ১০০ শতাংশ লাভ জিহাদ। তবে আমি চাই পুলিশ তদন্ত করুক। আমরা চাই মামলাটি সব দিক থেকে তদন্ত হোক। এটা আত্মহত্যা নাকি কী তা আমরা জানি না। আমাদের সামনে কোনও ভিডিও রেকর্ডিং আসেনি।"
তুনিশা শর্মার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করায় পুলিশকেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, “যথাযথ তদন্ত না করে পুলিশ প্রশাসন কীভাবে এটাকে আত্মহত্যা দাবী করতে পারে? আগে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুন, তারপর জানা যাবে এটা আত্মহত্যা নাকি লাভ জিহাদ।'' তুনিশা শর্মার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য নেয়নি বলেও দাবী করেন তিনি।
শেজানের পরিবার তুনিশার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এসেছে কিনা জানতে চাইলে পবন শর্মা বলেন, "তারা যদি সমবেদনা জানাতে আসতেন, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতেন। তার পরিবারের কেউ এসেছেন কিনা তা আমরা জানি না।"
তুনিশা শর্মা তার টিভি শো 'আলি বাবা: দাস্তান-ই-কাবুল'-এর শ্যুটিং করছিলেন। এ সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। তুনিশাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর পর, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এর অধীনে তার সহ-অভিনেতা শেজান মোহাম্মদ খানকে গ্রেপ্তার করে।
No comments:
Post a Comment