বাংলা থেকে ক্রমাগত চোরাচালান করা সোনা উদ্ধার হচ্ছে। মঙ্গলবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ইছামতি ব্রিজে নাকা চেকিংয়ে কোটি টাকার সোনার বিস্কুট ফেলে পালায় পাচারকারীরা। বসিরহাট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ব্যাগ থেকে ২ কেজি ওজনের ১৯টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বর্ডার ফাঁড়ি মধুগিরিতে, ১৪১ বিএসএফ জওয়ানরা ১৬.৫০ কেজি গাঁজা সহ একজন বাংলাদেশি পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরেছে। এ সময় চোরাকারবারি হামলার চেষ্টা করলে বিএসএফ জওয়ানরা দুই রাউন্ড গুলি চালায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চোরাকারবারীরা বিএসএফ জওয়ানদের নজর এড়িয়ে মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পুলিশের সন্দেহ, চোরাকারবারি এই সোনার বিস্কুটগুলিকে বাইকে বোঝাই করে আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছিল।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আইসি সুরিন্দর সিং এবং বসিরহাট ট্রাফিক গার্ড থানার অফিসার সুশান্ত দাসের নেতৃত্বে যৌথভাবে এই সাফল্য। বাজেয়াপ্ত করা বাইকের নম্বর দেখে চোরাকারবারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট তদন্তের জন্য বসিরহাট থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পলাতক পাচারকারীকে খুঁজছে পুলিশ। সব মিলিয়ে পুলিশ ও বিএসএফ-এর যৌথ তল্লাশিতে বসিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে বারবার সোনা উদ্ধারের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্ত শহর বসিরহাটে।
চোরাকারবারিরা ভারত থেকে গাঁজা বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগ কর্তব্যরত জওয়ানদের জানিয়েছিল যে কিছু চোরাকারবারী গাঁজা পাচার করতে যাচ্ছে। সেনারা পুরো এলাকা অবরোধ শুরু করে। প্রায় ৩ টা ১০-এ, জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকায় চোরাকারবারীদের কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি টের পান।
সৈন্যরা চারদিক থেকে চোরাকারবারিদের ঘিরে ফেলে। চোরাকারবারীরা হাতে বাজি নিয়ে জওয়ানদের দিকে এগোতে শুরু করে, তারপর জওয়ানরা পাচারকারীদের সতর্ক করে, কিন্তু চোরাকারবারীরা জওয়ানদের সতর্কতা উপেক্ষা করে জওয়ানদের দিকে আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে যেতে শুরু করে। বিপদের সম্ভাবনা দেখে জওয়ানরা ২ রাউন্ড গুলি চালায়। তা দেখে চোরাকারবারীরা ঘাম ঝরিয়ে গাঁজা সেখানে ফেলে অন্ধকার ও ঝোপঝাড়ের সাহায্যে পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সেখানেই এক পাচারকারীকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, যাতে ১৬.৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর নাম সপন মন্ডল, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment