আপনার শিশুর বয়স যদি ৬ মাসের কম হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। পরিবর্তনশীল ঋতুতে মায়ের দুধ শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। এতে এমন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আপনার শিশুর বয়স দুই বছর হলে তাকে মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়ান। ফলমূল এবং শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে, যা শিশুর সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাসেজ তেল
ছোট শিশুদের জন্য তেল মালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তনশীল ঋতুতে প্রতিদিন তেল দিয়ে শিশুকে মালিশ করুন। এতে শিশুর মাংসপেশি ও হাড় মজবুত হবে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ হবে। শীতে হালকা গরম তেল দিয়ে শিশুকে মালিশ করুন। শিশুর মালিশের জন্য সরিষা, অলিভ বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক
পরিবর্তনশীল ঋতুতে তাপমাত্রা ওঠানামা করতে থাকে। এমতাবস্থায় শিশুকে আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরানো প্রয়োজন। শীতকালে শিশুকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে মোটা কাপড় পরুন। বেশি মোটা কাপড় না পরলে বাচ্চাকে লেয়ারিং করে সাজানো ভালো। এর সাথে তার মাথা, হাতের তালু এবং পায়ের পাতা ঢেকে রাখুন। শীতকালে শিশুকে টুপি, গ্লাভস ও উলের মোজা পরিয়ে রাখুন।
সকালের রোদ
ছোট বাচ্চাদের জন্য শীতের রোদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন-ডি শিশুদের হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। শীতকালে, শিশুকে প্রতিদিন প্রায় 15 থেকে 20 মিনিটের জন্য সূর্যের আলোতে প্রকাশ করুন। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে, যা মৌসুমী রোগ থেকে রক্ষা করবে। রোদে বসে শিশুরও ভালো ঘুম হবে।
শিশুকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পরিবর্তনশীল ঋতুতে শিশুকে ঠান্ডা জিনিস খাওয়াবেন না
শীতকালে আপনার শিশুকে ঠান্ডা জিনিস খাওয়াবেন না। আপনার শিশুর বয়স এক বছর হলে তাকে আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস এবং ঠান্ডা জিনিস থেকে দূরে রাখুন। আপনি যদি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে আপনার ঠান্ডা জিনিসগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় কীভাবে শিশুর যত্ন নেবেন: এই টিপসের সাহায্যে আপনি পরিবর্তনের ঋতুতে ছোট বাচ্চাদের যত্ন নিতে পারেন। এই টিপসের সাহায্যে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং পরিবর্তনশীল ঋতুতে সে সহজে অসুস্থ হবে না।
No comments:
Post a Comment