জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঘটনায় এলাকা চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে দমকলকর্মীরা। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাটি সোমবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজের। এখন ১০টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভাতে নিয়োজিত রয়েছে। এ ঘটনায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জুটমিলে অগ্নিকাণ্ডে লাখ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। এ কারণে পাটকল শ্রমিকদের ওপর বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার সময় ভিতরে কেউ ছিল না। তাই জানমালের কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে কী কারণে মিলের ভেতরে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আগুনে লক্ষাধিক টাকার পাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কী কারণে এত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই পাটকলটি যে এলাকায় অবস্থিত সেটি খুবই সরু ও ঘন। জালের মতো চারিদিকে ছড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার। আগুন নেভানোর জন্য দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তাদের গতি বাড়াতে হয়। ফায়ার ব্রিগেড ছাড়াও পাটকলের শ্রমিকদের মগের বালতি থেকে জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে পাটকল আধিকারিকরা সাংবাদিকদের বলেন, "যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাঁচটি ইঞ্জিন কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।”
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পাটকলের ওই কর্মচারী বলেন, শীতকালে পাটকলটিতে মাঝেমধ্যে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও তা ভয়ানক নয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে একটি পাটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে 20 ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের 7টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে গোডাউনে রাখা বিপুল পরিমাণ পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে দুটি ট্রাকও পুড়ে গেছে। পাটের গোডাউনের পেছনে থাকা আরেকটি গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বড় গোডাউনে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
No comments:
Post a Comment