এই অভ্যাসগুলি মানুষকে দরিদ্র করে, অর্থ, গৌরব ও সম্মান কেড়ে নেয়

 

  গরুড় পুরাণে মানুষের জীবন সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। এই নীতিগুলি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে, একজন ব্যক্তি জীবনে কখনও প্রতারিত হতে পারে না এবং সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করে।

 হিন্দু ধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এই পুরাণ কারো মৃত্যুর পর পাঠ করা হয়, কিন্তু এতে এমন অনেক কথা বলা হয়েছে, যার সাথে মানুষের জীবনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, কোনও ব্যক্তির কিছু অভ্যাস দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে। এই অভ্যাসগুলো যদি সময়মতো ত্যাগ না করা হয়, তাহলে শীঘ্রই আপনাকে দারিদ্র্যের মুখে পড়তে হতে পারে। আসুন জেনে নিই কোন কোন অভ্যাসগুলো দারিদ্র্যের দিকে নিয়ে যায়।

লোভ 

একটা কথা আছে যে লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। গরুড় পুরাণ অনুসারেও লোভ ভালো নয়। লোভী ব্যক্তি বেশি পাওয়ার আকাঙ্খায় খারাপ পথে হাঁটতে থাকে। এই ধরনের মানুষের কাছে টাকা বেশিদিন থাকে না। অর্থের প্রতি যত বেশি লোভী হবেন মা লক্ষ্মী ততই তার কাছ থেকে দূরে যাবেন।

অহংকার 

একজন মানুষ জীবনে যতই সফলতা অর্জন করুক না কেন, তার কখনই অহংকার করা উচিৎ নয়। অহংকার বুদ্ধিকে কলুষিত করে এবং সবাই এমন ব্যক্তির সঙ্গ ত্যাগ করে। লক্ষ্মীও এই ধরনের লোকদের কাছে বেশিদিন থাকে না এবং যে টাকা হাতে আসে তাও ধীরে ধীরে চলে যেতে শুরু করে।

শোষণ 

গরুড় পুরাণ অনুসারে, যারা অন্যকে শোষণ করে তারা কখনও সুখী থাকে না। তার ফলাফল খারাপ। এই ধরনের লোকেরা যারা গরীব-দুঃখীকে শোষণ করে অর্থ উপার্জন করে, তাদের অর্থ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 

ময়লা

মা লক্ষ্মী কখনই এমন বাড়িতে থাকেন না, যেখানে ময়লার স্তূপ থাকে। নোংরা জামাকাপড় দরিদ্রদের আমন্ত্রণ জানায়। এমতাবস্থায় প্রতিদিন স্নানের আগে বাড়ি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।