উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠি, জ্যাকি শ্রফ এবং গায়ক কৈলাশ খের। এই সময়, বনি কাপুর এবং সোনু নিগমের মতো আরও অনেক তারকা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল নয়ডার ফিল্মসিটিতে শুটিং এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা। এই সময়, সুনীল শেঠি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমন একটি অনুরোধ করেছিলেন যে সেখানে বসে থাকা জ্যাকি শ্রফকেও তার পিঠ চাপড়াতে দেখা যায়। সুনীল শেঠি যোগী আদিত্যনাথকে বলেন, শুধুমাত্র তিনিই বলিউড বয়কট প্রবণতা শেষ করতে পারেন। ইন্ডাস্ট্রির সবাই সারাদিন মাদক সেবন করে না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলুন বয়কট বন্ধ করিয়ে দিতে।
মুখ্যমন্ত্রীকে যে কথা সুনীল শেঠি বলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি বলেন, "দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। এই যে হ্যাশট্যাগ চলছে, #BoycottBollywood আপনার কথায় থামানো যাবে। একটি নোংরা মাছ সবসময় সব জায়গায় আছে। কিন্তু তাতে আপনি আমাদের সবাইকে গণনা করতে পারেন না, আমরা সবাই এমন নই। বর্তমানে দর্শকদের মস্তিষ্কে বসে গিয়েছে যে, হিন্দি সিনেমা ভালো জায়গা নয়। আমরা ভালো-ভালো চলচ্চিত্র করেছি। বর্ডারের মতো ছবিতেও আমি ছিলাম। আমি অনেক ভালো ছবিতে ছিলাম। কিন্তু আমাদের যে পারসেপশন চলছে বয়কট বলিউড, এটা কীভাবে দূর করা যায়।"
ট্যুইটারে ট্রেন্ড চলছে, 'এটা কীভাবে বন্ধ করা যায়। যদি বন্ধ করা হয়... অবশ্যই ইউপির মতো আর জায়গা নেই। এটি হিন্দি সিনেমার প্রাণকেন্দ্র। আমি যদি সুনীল শেঠি হয়েছি, তা এই ইউপির কারণে।' সুনীল শেঠি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, 'আপনি যদি নেতৃত্ব দেন, তা অবশ্যই ঘটতে পারে। আমাদের ওপর যে কলঙ্ক লেগেছে, তা দূর করা প্রয়োজন। আমি মনে করি সবাই এই বিষয়ে একমত হবে। খুব শক্তিশালী আবেগ এটা আমার। অত্যন্ত দুঃখ হয় বলতে যে, এই অপবাদ দেওয়া হয়েছে।' একথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুনীল শেঠি।
তিনি আরও বলেন, '৯৯ শতাংশ মানুষ আমরা এমন নই। আমরা সারাদিন ড্রাগস নিই না। আমরা সারাদিন ভুল কাজ করি না। সবসময় ভালো কাজের সাথে যুক্ত। ভারতকে যদি বাইরের দেশের সঙ্গে, ভারতীয়দের সঙ্গে কেউ যুক্ত করে থাকে, তবে তা হল সঙ্গীত এবং কাহিনী। আমরা যদি সেদিকে মনোযোগ দেই এবং আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা বলেন, তাহলে অনেক প্রভাব পড়তে পারে স্যার।'
No comments:
Post a Comment