২০২৩ সালের প্রথম অমাবস্যা ২১ জানুয়ারি শনিবার পড়ছে। হিন্দু ধর্মে শনি অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জেনে নিন শনির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে এই দিনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
সাড়ে সতী এবং ধাইয়া প্রতিকার: হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা তিথি ১৫ তম তিথিতে পালিত হয়। বছরের প্রথম অমাবস্যা ২১ জানুয়ারি শনিবার। সনাতন ধর্মে, শনিবারে যে অমাবস্যা হয় তা শনিশ্চরি অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিলে শনিদেবের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মাঘ মাসে যে অমাবস্যা আসে তা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত।
এই মাসে মৌনী অমাবস্যা শনিবার হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে। শনি সম্প্রতি ১৭ জানুয়ারি কুম্ভ রাশিতে পরিবর্তিত হয়েছে। এর কারণে যেখানে কোন কোন রাশির মানুষ সাড়ে সতী ও ধইয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে কোনো কোনো রাশির জাতক-জাতিকাদের ওপর সাড়ে সতী দিনের প্রকোপ শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যারা শনির প্রকোপ দিয়ে যাচ্ছেন, তারা শনি অমাবস্যার দিন কিছু ব্যবস্থা করলে সাড়ে সতী ও ধইয়ার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন।
শনির প্রকোপ থেকে বাঁচার উপায়
- জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির মণি নীলম বলা হয়েছিল। যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শনির দশা অশুভ হয় বা সাড়ে সাত বছর চলছে, তবে সেই ব্যক্তিকে নীলকান্তমণি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। একইভাবে, যদি শনি গ্রহ আপনার উপর প্রভাব ফেলতে থাকে, তাহলে শনি অমাবস্যার দিন আপনি জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় বছর থেকে নীলকান্তমণি পরতে পারেন। শনিশ্চরি অমাবস্যা এই জন্য একটি খুব বিশেষ দিন। তবে মনে রাখবেন জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শ ছাড়া নীলকান্তমণি পরা উচিৎ নয়।
- যদি কোন জাতক সাড়ে সতী ও ধৈয়ার মহাদশায় থাকে, তবে শনিশ্চরি অমাবস্যার দিন একটি লোহার পাত্রে সরিষার তেল ভরে সেই পাত্রে নিজের মুখ দেখুন। এর পরে এই তেলটি কোনও অভাবী ব্যক্তিকে দান করুন। এটি করলে ব্যক্তির উপর শনির প্রভাব কমতে পারে।
শুধু তাই নয়, শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে রুটিতে সরিষার তেল লাগিয়ে কালো কুকুরকে খাওয়ান। শনিবার কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ালে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তির উপর মহাদশার প্রভাব কমে যায়।
-শনিবার শনির প্রভাব কমাতে শনি স্রোত পাঠ করা যেতে পারে। কথিত আছে যে শনি অমাবস্যার দিনে ১১ বার শনি স্রোত পাঠ করলে শনি দোষ দূর হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment