গরু পাচার কাণ্ডে গ্ৰেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) গ্রেফতারের পর ১৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন বলে জামিনে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সিবিআই জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, আবেদনকারীকে জামিনে মুক্তি দিলে তদন্ত লাইনচ্যুত হতে পারে, কারণ তিনি (অনুব্রত মণ্ডল) সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন।
এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি এ কে গুপ্তার একটি ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের আবেদন নাকোচ করে দিয়ে বলেছে যে, আদালত এই পর্যায়ে আবেদন গ্রহণের পক্ষে নয়। সিবিআই অভিযোগ করেছে যে অনুব্রত মণ্ডল রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে, বীরভূম জেলা হয়ে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচারের এক প্রধান সহায়ক ছিলেন৷ কিন্তু এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যুক্তি দেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, আগের দিনে অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি, আদালত এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছিল। অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তার মক্কেল চার মাসেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন, যখন মামলার প্রধান অভিযুক্ত, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) অফিসার সতীশ কুমার মাত্র ৩৩ দিন পরে জামিন পান।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) কৌঁসুলি ডিপি সিং জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন, দাবী করেন যে, অনুব্রত মণ্ডল তদন্তকে লাইনচ্যুত করার ক্ষমতার দিক থেকে সতীশ কুমারের চেয়ে আলাদা অবস্থানে আছেন এবং তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। মামলায় সব পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বের বেঞ্চ অনুব্রতর জামিন আবেদনের ওপর রায় সংরক্ষণ করে।
No comments:
Post a Comment