আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা আপনার কর্মজীবনে সাফল্য চান, তাহলে মা সরস্বতীর এই মন্ত্রগুলি জপ করা আপনাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য দিতে পারে।
হিন্দু ধর্মে মা সরস্বতীকে বিদ্যার দেবী বলা হয়েছে। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব পালিত হয়। এদিন সারাদেশে মা সরস্বতীর পূজার রীতি রয়েছে। অনুগ্রহ করে বলুন যে এবার বসন্ত পঞ্চমী উৎসব পালিত হবে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি। কথিত আছে যে এই দিনে দেবী সরস্বতীর পূজা করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। এই দিনটি তরুণ ও ছাত্রদের জন্য খুবই বিশেষ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে অনেক ব্যবস্থা ও মন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। আপনিও যদি কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা আপনার কর্মজীবনে সাফল্য পেতে চান, তাহলে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে সরস্বতী মন্ত্রের পাঁচ রাউন্ড জপ করলে উপকার পাওয়া যাবে। যদি এই মন্ত্রগুলি সঠিকভাবে জপ করা হয়, তাহলে ব্যক্তি সফলতা পায়। এটি সম্পদ, জ্ঞান এবং শেখার ক্ষেত্রে উপকৃত হবে। একই সাথে, পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে এই মন্ত্রগুলি জপ করা অত্যন্ত ফলদায়ক বলে বিবেচিত হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি জপ করলে একজন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটে।
বসন্ত পঞ্চমীতে এই মন্ত্রগুলি জপ করুন
১. শারদায়ে নমস্তেভ্যাম মম হৃদয়ে প্রবেশিনী, পরীক্ষায়া উত্তীর্ণ, সকল বিষয়ের নাম য়থা ।
২. ওম হ্ভিন অইন হ্বিন সরস্বত্যয় নমঃ।
৩. নমস্তে শারদে দেবী, কাশ্মীরিপুর বাসিনী, ত্বামহম প্রার্থে নিত্যম, বিদ্যা দানম চা দেহি মে।
কম্বুকাণ্ঠি সুতামৃষ্ঠি সর্বভরণম্ ভূষিতম মহাসরস্বতী দেবী, জিববায়াগ্রে সন্নিবিষ্যতম্।
৪. সরস্বত্যয় নমো নিত্যম ভদ্রকাল্যায় নমো নমঃ। বেদ বেদান্ত বেদাং বিদ্যাস্থানেত্র্য এব চ।
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যা কমলোচনে, বিদ্যারূপে বিশালাক্ষী বিদ্যা দেহি নমোস্তুতে।
৫. ওম বাগদৈবয় চ বিদ্যামহে কামরাজ্যয় ধীমহি, তন্নো দেবী প্রচোদয়াৎ।
৬, ওঁ হ্রীঁ শ্রী বাগদেবীনি সরস্বতী দেবী মম জীভায় । সর্ব বিদ্যা দেহি দাপয় দাপয় স্বাহা।
৭. ওম শারদা মাতা ঈশ্বরী মে নিত সামুরি তোয়ো হাত জোর আরজ করু বিদ্যা বর দে ময়।
মা সরস্বতীর মন্ত্র জপ করলে উপকার হবে
বসন্ত পঞ্চমীর দিনে মা সরস্বতীর কিছু বিশেষ মন্ত্র জপ করা অলৌকিক প্রমাণিত হয়। এই দিনে মন্ত্র উচ্চারণ ও মায়ের আরাধনা করলে ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। কথিত আছে যে বসন্ত পঞ্চমীর সাথে নিয়মিত তাদের জপ করা একজন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে। শুধু তাই নয়, এটি ব্যক্তির মধ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। এই মন্ত্রটি উচ্চারণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পড়াশোনায় একাগ্রতা তৈরি হয় এবং ব্যক্তির মন বিচরণ করে না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment