কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ থাকলে জীবন নষ্ট হতে পারে। মানুষ পরিশ্রম করেও সফলতা পায় না। অর্থের ক্ষতি হয়। মানসিক চাপ এবং নেতিবাচক চিন্তা সবসময় প্রাধান্য পায়। এ ছাড়া আরও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। তাই কালসর্প দোষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশোধন করা উচিৎ । কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শবন মাস ও নাগপঞ্চমীর দিন সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও মহাশিবরাত্রির দিনটি কালসর্প দোষ নিবারণের উপাসনা ও প্রতিকার করার জন্যও খুব ভালো।
কালসর্প দোষের লক্ষণ-
কালসর্প দোষ থাকলে ব্যক্তির শিক্ষায় বাধা আসে। তাকে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ ও কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
কালসর্প ত্রুটি থাকলে ব্যক্তির কর্মজীবনেও সমস্যা দেখা দেয়। তার চাকরি বারবার বন্ধ হয়ে যায় বা চাকরি চলে যায়। ব্যবসা চলে না বারবার লোকসান হচ্ছে।
কালসর্প ত্রুটির কারণে মনে সবসময় নেতিবাচকতা থাকে। ব্যক্তি হতাশায় ডুবে যায় এবং পরাজিত বোধ করে।
- কালসর্প ত্রুটির কারণে ব্যক্তি ভুল সঙ্গে পড়ে। তার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা আসে। দাম্পত্য জীবন ও প্রেম জীবনে কলহ ও ঝামেলা রয়েছে।
সন্তান জন্মদানে সমস্যা হয়।
মহাশিবরাত্রিতে কালসর্প দোষের প্রতিকার
এই বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ মহাশিবরাত্রি উৎসব। ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর বিবাহ উৎসবের এই দিনে নিয়মানুযায়ী পূজা। এর পাশাপাশি কালসর্প দোষ দূর করতে মহাশিবরাত্রিতে কিছু নিশ্চিত ব্যবস্থা করুন।
- মহাশিবরাত্রিতে উজ্জয়িনে অবস্থিত মহাকালেশ্বরে বা নাসিকে অবস্থিত ত্রিম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গে বা প্রয়াগরাজে অবস্থিত তক্ষকেশ্বর মহাদেব মন্দিরে পূজা ও রুদ্রাভিষেক করলে তার রাশিফলের কালসর্প দোষ দূর হবে।
- কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে একজোড়া রৌপ্য কবরা অর্পণ করুন।
- মহাশিবরাত্রির দিনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র ২ বার জপ করুন।
- মহাশিবরাত্রির দিনে 'ওম নাগকুলায় বিদমহে বিশদন্তায় ধীমহি তন্নো সার্প প্রচোদয়ত' জপ করুন। এটি কালসর্প ত্রুটির কারণে আসা সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
- কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে মহাশিবরাত্রির দিন উপবাস ও পূজা করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment