বেশিরভাগ আধুনিক মহিলারা চান যে তাদের পায়ের ত্বক দেখতে মসৃণ হোক যাতে তারা হাঁটু দৈর্ঘ্যের পোশাক পরতে পারে। এর জন্য সে শেভিং ও ওয়াক্সিং এর সাপোর্ট নেয়। তুলনা করলে দেখা যায়, শেভিংয়ের মাধ্যমে পায়ের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা সহজ। পায়ের চুলগুলো একটু শক্ত। তাই রেজার এগুলোর উপর কার্যকরীভাবে কাজ করে। কিন্তু এই ধারালো জিনিসটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, জ্বালাপোড়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই পায়ের চুল কামানোর সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
পা কামানোর সময় এমন ভুল করবেন না
১. বিপরীত দিকে শেভ করা এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় মহিলারা আরও পরিষ্কারের জন্য চুল বৃদ্ধির বিপরীত দিকে শেভ করেন, তবে এই পদ্ধতিটি বিপজ্জনক কারণ এটি রেজার পোড়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে। আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, তাহলে ভুল দিকে রেজার চালালে আরও ক্ষতি হতে পারে।
২. পুরানো ক্ষুর ব্যবহার করবেন না
অনেক সময় মহিলারা অজান্তে বা টাকা বাঁচানোর জন্য পুরানো ক্ষুর ব্যবহার করেন, কিন্তু এই ধরনের অভ্যাস ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেই সঙ্গে ত্বকের খোসা কেটে যাওয়ার ভয়ও থেকে যায়। যদি আপনার চুল শক্ত হয় তবে রেজার ব্যবহার করুন মাত্র ৩ থেকে ৪ বার।
৩. ড্রাই শেভিং এড়িয়ে চলুন।
যদি আপনিও পায়ের লোম পরিষ্কার করার জন্য ড্রাই শেভিং পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তাহলে এই অভ্যাসটি অবিলম্বে পরিবর্তন করুন কারণ ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যার কারণে র্যাশ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে শেভ করার আগে পায়ে জেল বা ক্রিম লাগান।
৪. শেভ করার পর ময়েশ্চারাইজার লাগান ।
পা শেভ করার পরে, ত্বককে ময়শ্চারাইজ করা প্রয়োজন, অন্যথায় ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। শেভ করার পর ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment