ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যার নাম শুনলেই মানুষের প্রাণ কেঁপে ওঠে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষ ক্যান্সার সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা গেলে তা নির্মূলে অনেকাংশে সাহায্য করা যায়। যাইহোক, মানুষ যখন উপসর্গ সম্পর্কে জানতে পারে, সময় পেরিয়ে গেছে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই ক্যান্সারের লক্ষণগুলির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন।
ক্যান্সার ধরা না পড়লে একজন ব্যক্তি মারা যায়। শরীরের যে কোন অংশে ক্যান্সার হতে পারে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকি বাড়ে। কিছু জিনিস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন খারাপ খাদ্যাভ্যাস, সিগারেট, তামাক এবং অ্যালকোহল। সারা বিশ্বের মানুষকে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
শরীরের যেকোনো অংশে ক্যান্সার হতে পারে। লিভার ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, সিভিল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার সবচেয়ে সাধারণ। বেশিরভাগ মানুষ এই ক্যান্সারের কবলে পড়ে। কিছু ক্যান্সার ত্বকে এবং কিছু মাংসপেশীতে হয়।ক্যান্সারকে নিম্ন গ্রেড এবং উচ্চ গ্রেডে ভাগ করা হয়। নিম্ন গ্রেড ক্যান্সার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে, যখন উচ্চ গ্রেড ক্যান্সার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হাই গ্রেড ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। ডাঃ সারিকা জানান, ৫০ বছর বয়সের পর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই রোগ যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। কিছু লোকের এটি জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে।
ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা কি?
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। ক্যান্সার এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা গেলেও যদি বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপিসহ অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ক্যানসার হওয়ার পর রোগী যত দ্রুত সম্ভব সঠিক চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান এবং চিকিৎসা পেলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব। বিলম্ব মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment