আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে যেসব রোগের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে তার মধ্যে একটি হল হার্ট অ্যাটাক। হৃদরোগকে সাধারণত বার্ধক্যজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গত কয়েক বছরে তরুণরাও ক্রমশই এই মারাত্মক রোগের শিকার হচ্ছেন।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এই ধরনের বাধা সাধারণত জাহাজে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থের জমা হওয়ার কারণে ঘটে। আমরা জেনে-বুঝে বা অজান্তে প্রতিদিন এমন কিছু কাজ করে থাকি, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এ বিষয়ে সকলের জানা এবং তা থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আমাদের অভ্যাসের উন্নতির মাধ্যমে আমরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকগুণ কমাতে পারি। নীচে তাদের সম্পর্কে জানুন.
যেসব অভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়
১. ওজন নিয়ন্ত্রণ না করা
এই দৌড়াদৌড়ির জীবনে, বেশিরভাগ মানুষই স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করেন। মিওহেল্থ বলে যে স্থূলতা উচ্চ রক্তের কোলেস্টেরল, উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, যা সবই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এই কারণেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সময়মতো ওজন কমিয়ে ফেলুন।
২. ধূমপান এবং উত্তেজনা
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা ধূমপান করেন এবং বেশি স্ট্রেস নেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রকৃতপক্ষে, ধূমপানের ফলে সময়ের সাথে সাথে ধমনীতে প্লাক তৈরি হয়, ধমনী সংকুচিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ কমে যায়, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একইভাবে, বেশি স্ট্রেস নেওয়ার ফলেও রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে, যা হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসাবে দেখা হয়। এ কারণেই মানসিক চাপ না নেওয়া এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
৩. শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি আরামদায়ক জীবন পছন্দ করেন, তাহলে এই অভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কারণ শরীর যখন নিষ্ক্রিয় থাকে, তখন ধমনীতে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। আপনার হৃৎপিণ্ডে রক্ত বহনকারী ধমনী যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা আটকে যায়, তাহলে তা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এই কারণেই সকল মানুষকে প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যোগব্যায়াম ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
-বুকে ব্যাথা
-ঘাম হওয়া
-শ্বাসকষ্টের
অনুভূতি -বমি হওয়া, বমি বমি ভাব -মাথা ঘোরা - হঠাৎ
ক্লান্তি - বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা, ভারী হওয়া বা সংকোচন যা কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয় - কাঁধ, ঘাড়, বাহু এবং চোয়াল থেকে হৃদপিন্ডের ব্যথা।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment