বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় শিয়ালদহ আদালতে পরিবারের সদস্যরা এবং তার ভাই বিশ্বজিৎ সরকার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষা চেয়েছিলেন এবং কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।কলকাতা হাইকোর্ট বিষয়টির শুনানি করে তার পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
'নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায়' নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তার মাকে 'পর্যাপ্ত নিরাপত্তা' দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন যে শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় পুলিশ তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে।
ভোট-পরবর্তী সহিংসতার ক্ষেত্রে, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবী, শনিবার বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত সাক্ষীর বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি দেয়। পুলিশ সুরক্ষার দাবী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নারকেলডাঙ্গা থানাকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেন। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের পর ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার অভিযোগ সামনে এসেছিল। একই বছরের ২ মে কাঁকুড়গাছির শীতলতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিজিতের পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে। তার দাদা বিশ্বজিৎ সরকার তার ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ঘটনায় জড়িত বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের নাম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরেশকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সিবিআই পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এই বিষয়ে একটি চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে। একই মামলায় শিয়ালদহ আদালতে অভিজিৎ সরকারকে সাক্ষ্য দিতে হলেও তার আগেই তাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর আদালত এ নির্দেশ দেন।
No comments:
Post a Comment