বোলেরো থেকে উদ্ধার দুটি মানব কঙ্কাল, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার লোহারুতে। লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়, পরে পুলিশ ও এফএসএল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, বোলেরোতে আগুন লেগে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তদন্ত যতই এগিয়েছে, হুঁশ উড়েছে পুলিশের। মৃতের স্বজনরা তাঁদের জীবিত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ করেন। অপরদিকে, নিহতদের ওপরও গরু পাচারের সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ভিওয়ানি জেলার লোহারুর জঙ্গলে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের পর, পুলিশ গাড়ির নম্বরের ভিত্তিতে নুহ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নূহ থানা পুলিশ তদন্ত করে জানায়, বোলেরোটি ফিরোজপুর ঝিরকার মহু গ্রামের হাসিনের নামে নথিভুক্ত। বোলেরোতে যে দুজনের দেহ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে নাসির নামের এক ব্যক্তি হাসিনের কাছ থেকে বোলেরোটি নিয়েছিলেন। নিহত জুনায়েদ ও নাসির রাজস্থানের ভরতপুর জেলার গোপালগঞ্জ থানার অন্তর্গত ঘটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, জুনায়েদ ও নাসিরকে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে বজরং দল ও গোরক্ষক দল।
নিহত জুনায়েদের ভাই জাফর পুলিশকে তার অভিযোগে জানিয়েছেন, তার ভাই জুনায়েদ ওই গ্রামের বাসিন্দা নাসিরের সঙ্গে বোলরো থেকে ভরতপুর গ্রামের পিরুকা জোথরিতে গিয়েছিল। যেখানে পথে বজরং দল ও গোরক্ষক দল তাকে অপহরণ করে পিরুকা গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়, এরপর তারা দুজনকে অচেতন অবস্থায় হরিয়ানার লোহারুতে নিয়ে গিয়ে বোলরোর ভেতরে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়। মৃত জুনায়েদের ভাই জাফর ঘটনার জন্য বজরং দলের গোরক্ষা বিভাগের রাজ্য আহ্বায়ক মনু নুহ এবং শ্রীকান্ত ও লোকেশ সিংলা সহ আট থেকে দশজনকে দায়ী করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment