সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপর আরোপিত জরিমানা বহাল রেখেছে। সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের সাথে জমি বিবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি লাইমলাইটে রয়েছে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২২-এ বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধান আবেদনকারী, দেবতোষ সিনহা, বিশ্বভারতীর একজন সহকারী অধ্যাপককে শিশু যত্নের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন। এটি ২০২১ সালে বিশ্বভারতী দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কিন্তু এক বছর পরে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সিনহাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন যে কেন তিনি সহকারী অধ্যাপকের ছুটি অনুমোদন করেছেন। এই চার্জফ্রেম বাতিলের দাবীতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন উপাচার্য। দেবতোষ সিনহার আবেদনের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিচারপতি কৌশিক চাঁদ উপাচার্যের নোটিশ বাতিল করেন। পাশাপাশি উপাচার্যকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবতোষ সিনহা শিশুটির দেখাশোনার জন্য সরকারি এক অধ্যাপককে ছুটি দিয়েছিলেন। ঘটনার এক বছর পর ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন উপাচার্য। কেন ছুটি মঞ্জুর করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য।অধ্যাপক তখন নোটিশ প্রত্যাহারের আবেদন করলেও উপাচার্য নোটিশ প্রত্যাহার করেননি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই অধ্যাপক। এরপর বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে যায়। এর ভিত্তিতে বিচারপতি কৌশিক চাঁদ উপাচার্যের নির্দেশ বাতিল করে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশকে উপাচার্যের বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করা হলেও বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখেছে। বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী মনোভাব অবলম্বনের অভিযোগ এনে লাগাতার আন্দোলন করছে।
No comments:
Post a Comment