উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে একবার জল ছাড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতি মিনিটে জলের প্রবাহ ছিল প্রায় ৫০০ লিটার। এক সপ্তাহ ধরে এখানে জলের প্রবাহ থেমে নেই বলে দাবী করা হচ্ছে। বিপদের আশঙ্কায় এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারকে খবর দিয়েছে। অন্যদিকে বিপদের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানালেন, এটা জল ছাড়া নয়, জল সংস্থানের পাইপলাইন ফেটে জল এসেছে।
তথ্যমতে, নরসিংহ মন্দির বাইপাস সড়কে জল নিষ্কাশনের এই ঘটনা ঘটেছে। এটি জোশীমঠ শহরের ঠিক নীচে যা ভূমিধসের কবলে পড়েছে। রবিবার সকালে স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। জানালেন ঘোলা জল বয়ে যাচ্ছে। বিপদের আশঙ্কা দেখে প্রশাসনিক দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত চালায়।
জোশীমঠের এসডিএম কুমকুম জোশী জানিয়েছেন, জল যাওয়ার ব্যাপার নয়। বরং জোশীমঠের ঠিক উপর থেকে জল সংস্থার পাইপলাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখানে জল এসেছে। পাইন লাইন মেরামত করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ২ জানুয়ারিও এখানে জল পড়েছিল। এর পর শুরু হয় ভূমিধস। এতে অনেক বাড়ি ধসে পড়ে এবং অনেক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। এ কারণে আড়াইশ পরিবারকে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বাড়ির বিপদজনক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এসডিএম কুমকুম জোশী জানিয়েছেন, শীঘ্রই পাইপলাইন মেরামত করে জলপ্রবাহ বন্ধ করা হবে। তা সত্ত্বেও সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কায় ভূতাত্ত্বিক অধিদফতরের টিমকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিভাগটিকে প্রতিটি ছোটখাটো আপডেট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে এবং ভূমিধস প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জোশীমঠ বাঁচাও সংগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক অতুল শেঠি বলেন, "এই দ্রুত জল প্রবাহের কারণে পাহাড়ের নিচ থেকে মাটি বের হচ্ছে। পাহাড়টি পুরো অংশ ফাঁপা হয়ে গেছে এবং পাহাড়টি যে কোনও সময় এখানে পিছলে যেতে পারে। এতে স্থানীয়দের জন্য বিপদ বেড়েছে।" তিনি সরকারের কাছে যত দ্রুত সম্ভব পুরো বিষয়টি অধ্যয়ন করে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবী জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment