ইছামতি নদী সংস্কারের কাজের সূচনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বনগাঁ সংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। এর পাশাপাশি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় পথশ্রী এবং রাস্তাশ্রী প্রকল্পের কাজের খতিয়ান তুলেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
বৃহস্পতিবার বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগধার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সম্প্রতিক কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ মহকুমার বেড়ি গোপালপুর ঘাটে এক সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইছামতি সংস্কারের কাজের সূচনা করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কালাঞ্চি থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত ইছামতি নদীর কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ হবে, পরবর্তী পর্যায়ে নদীবক্ষে পলি তোলার কাজ শুরু হবে। শান্তনু ঠাকুর এই কাজের জন্য কত টাকা খরচ হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও কিছু সাধারণ জনগণকে জানাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন।
বিশ্বজিৎ দাস প্রশ্ন তোলেন, "৪ বছর পর এসে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার কথা মনে পড়লো? ইছামতি নদী সংস্কারের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে সে বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর সাধারন মানুষকে কোনও কিছু জানাননি, সাধারণ মানুষ তা জানতে চায়।" এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন নদী সংস্কারের কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে কিছুই জানানো হয়নি। শুধুমাত্র ঐ অঞ্চলে কেন বনগাঁ মহকুমা এলাকায় ইছামতি নদী সংস্কার হবে না কেন? আমরা চাই বনগাঁ বাগদাতেও ইছামতী নদীর সংস্কার হোক।
এদিন বিশ্বজিৎ দাস সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে পথশ্রী এবং রাস্তাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কত কিলোমিটার রাস্তা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় হচ্ছে সেই খতিয়ান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের প্রতি দ্বিমাত্রি সুলভ আচরণ করছে । ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনওরূপ সহযোগিতা ছাড়াও বাংলার মানুষের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল সরকার।
বিশ্বজিৎ দাসের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল। এদিন তিনি বলেন, "বিশ্বজিৎ বাবুকে তৃণমূলই বিশ্বাস করতে পারে, উনি হয়তো জানেন না এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুক আগে।" নদী সংস্কারের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এ প্রসঙ্গে দেবদাস মন্ডল বলেন, এটা সরকারি বিষয়, এই বিষয়ে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানেন।
No comments:
Post a Comment