গ্রহদের রাজা সূর্য দেবের বিয়ে হয়েছিল বিশ্বকর্মার কন্যা সাঙ্গ্যাকে। বিয়ের পর সাঙ্গ্য যম নামে একটি পুত্র এবং যমুনা নামে একটি কন্যার জন্ম দেন। কেন সূর্যদেব রেগে গিয়ে নিজের ছেলেকে তার থেকে দূরে যাওয়ার অভিশাপ দিলেন। জেনে নিন কী গল্প।
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সূর্যের তাপ বহনকারী গ্রহগুলির মধ্যে শনি সর্বাধিক বিলম্বে অস্ত যায়। পিতা-পুত্রের মধ্যে সম্পর্ক থাকার পরও সূর্যদেব শনিকে পুত্র হিসেবে মেনে নেননি। সূর্যদেব তার স্ত্রীর (ছায়া) উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে তার পুত্রসহ চলে যাওয়ার অভিশাপ দেন। এই কারণেই মহাবিশ্বের গ্রহ গণনায় শনিদেব সূর্য থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বে থাকেন।
গ্রহদের রাজা সূর্যদেবের বিয়ে হয়েছিল বিশ্বকর্মার কন্যা সাঙ্গ্যার সাথে। বিয়ের পর সাঙ্গ্য যম নামে একটি পুত্র এবং যমুনা নামে একটি কন্যার জন্ম দেন। সূর্যদেব ছিলেন অত্যন্ত তেজস্বী, অন্যদিকে সাংগ্যা ছিলেন অত্যন্ত নরম প্রকৃতির, যার কারণে তিনি সূর্যদেবের তেজের সামনে কষ্ট পেতেন, সূর্যদেবের সামনে গেলে তিনি অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতেন। তিনি সূর্যের প্রতাপ এড়াতে নিজের ছায়া তৈরি করেন এবং তা সূর্যদেবের সেবায় ত্যাগ করে পিতা বিশ্বকর্মার বাড়িতে চলে যান। কিছু দিন অবস্থান করার পর ভগবান বিশ্বকর্মা তার কন্যাকে স্বামীর বাড়িতে যেতে বলেন, কিন্তু অসহ্য যন্ত্রণার কথা স্মরণ করে তিনি হিমালয়ে তার রূপ পরিবর্তন করে তপস্যা শুরু করেন।
সূর্যদেব ছায়াকে একটি বিশেষ্য হিসাবে বিবেচনা করতে থাকেন এবং কিছুকাল পরে শনিদেব তাঁর পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। ছায়া শনিদেবকে আদর করে এবং যম ও যমুনাকে অভিশাপ দেয়। একদিন কোনো বিষয়ে রেগে গিয়ে ছায়া যম ও যমুনাকে অভিশাপ দিলে যম তার পিতার কাছে অভিযোগ করেন। এতে সূর্যদেব রেগে গিয়ে বললেন “ক্বাচিদাপি কুমতা ন ভবতি” অর্থাৎ মা কখনও কুমতা হতে পারেন না। এ কথা বলে সে অভিশাপ দিতে যাচ্ছিল যে ছায়া সব সত্যি বলেছে। এতে সূর্যদেব শনিকে তার থেকে দূরে থাকার অভিশাপ দেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment