মসজিদে রমজানের নামাজ পড়ার অজুহাতে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ধর্মীয় শিক্ষাদানকারী মৌলভির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের গুজরাট জেলার এক মসজিদের মৌলভির বিরুদ্ধে এক যুবকের সঙ্গে অপ্রাকৃতিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
যুবককে রমজান মাসে নামাজের অজুহাতে মসজিদে ডাকা হয়। অভিযুক্ত মৌলভীর নাম মোহাম্মদ রিয়াজ। এই ঘটনায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত মৌলভীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। সোমবার (২৭ মার্চ ২০২৩), পুলিশ অভিযুক্ত মৌলভিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মামলায় নথিভুক্ত এফআইআর অনুসারে, এই ঘটনাটি ৯-১০ মার্চের। ঘটনাটি শাহিন চক থানার। ভুক্তভোগী তার অভিযোগে বলেছেন, ৯ মার্চ রাতে জামে মসজিদের মৌলভী মুহাম্মদ রিয়াজ তাকে ফোন করে তার কাছে ডেকে নেন। মৌলভীরা রমজান মাসে নামাজ ইত্যাদি শেখানোর অজুহাত দেখিয়েছিলেন। রাতে তারাবিহ নামাজের পর ভিকটিমকে মসজিদে ঘুমাতে বাধা দেয় মৌলভি। এ সময় রিয়াজ ওই যুবককে দেওয়া খাবারে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নির্যাতিত যুবক জানান, রাতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সকালে জ্ঞান ফিরলে নির্যাতিত যুবক দেখতে পায় মৌলভি রিয়াজ তাকে ধর্ষণ করছে। ওই যুবক মৌলভীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি তাকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিতে থাকেন। অভিযোগ, পুরো রাত জুড়ে ওই ধর্মগুরু নির্যাতিতকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।
যুবক তার অভিযোগে ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩৭৭ ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। অভিযুক্ত মৌলভীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত মৌলভী মসজিদে লোকদের ধর্মীয় নির্দেশ দিতেন। তাকে কোরান হাফিজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment