চা বাগানে উদ্ধার চিতাবাঘের মৃতদেহ। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গয়াগঙ্গা চা বাগানের ১৮ নম্বর লাইন থেকে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে চা বাগানের ভেতরে চিতাবাঘের দেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। চিতাবাঘটির ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। মৃত চিতাবাঘের বয়স তিন বছর।
চিতাবাঘটিকে পোস্টমর্টেমের জন্য বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘোষপুকুরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানিয়েছেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই চা বাগানে একটি চিতাবাঘ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। গত দুই মাসে শিলিগুড়ি এলাকায় এটি দ্বিতীয় চিতাবাঘের মৃত্যু।
গত বছরের জানুয়ারিতে একটি গাড়ির ধাক্কায় একটি চিতাবাঘ মারা গিয়েছিল। রাতে শিলিগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়েতে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে। চিতাবাঘের মৃতদেহ শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘাতক গাড়ির কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি। শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার সিংগোরা চা বাগান সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়েতে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। চিতাবাঘের মৃতদেহ দেখে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা। তারা দেহ উদ্ধার করে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যায়। সেখানেই চিতাবাঘের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর আগে উত্তরবঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment