ভগবান রামের জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ রামনবমী সারা দেশে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শোভা যাত্রা বের করা হচ্ছে। এদিকে, খবর সামনে এসেছে যে দুষ্কৃতীরা উত্তরপ্রদেশের লখনউ, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ, গুজরাটের ভাদোদরা এবং বাংলার হাওড়ায় রাম নবমী উৎসবে বের হওয়া মিছিলে পাথর ছুঁড়ে, অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাওড়ায় মিছিলে পাথর ছোঁড়া হয়। সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। একই সঙ্গে মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বাঁকুড়ায় মিছিল থামানো নিয়ে তোলপাড়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে ভারী পুলিশ। অন্যদিকে, হাওড়া হিংসা নিয়ে বিজেপিকে ঘেরাও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "তিনি শুনেছেন হাওড়ায় দাঙ্গা হয়েছে। আমার চোখ-কান খোলা। রোজার সময় মুসলমানরা কোনও অন্যায় কাজ করে না। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।"
ভাদোদরার ফতেপুরায় মিছিল চলাকালীন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মিছিলে কিছু দুষ্কৃতী পাথর ছুড়তে শুরু করে বলে জানা গেছে। এরপরই পরিস্থিতির অবনতি হয়। ভাঙচুর করা হয় সড়কে পার্কিং করা যানবাহন। ভাদোদরার ডিসিপি যশপাল জাগানিয়া জানিয়েছেন যে একটি মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং হট্টগোল হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বজরং দলের ভাদোদরা ইউনিটের সভাপতি কেতন ত্রিবেদীর দাবী, ষড়যন্ত্রে এই পাথর ছোঁড়া হয়েছে।
একই সময়ে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের জানকিপুরমে রাম নবমীতে একটি মিছিলে দুটি সম্প্রদায় মুখোমুখি হয়েছিল। ধর্মীয় স্লোগানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে জানা গেছে। এরপরই তারা একে অপরের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকে। তবে পুলিশ মৃদু শক্তি প্রয়োগ করে ঘটনা শান্ত করে। মামলায় উভয় পক্ষের প্রায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment