আবিষ্কার হল জলের নিচে নিমজ্জি তঅতি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 29 April 2023

আবিষ্কার হল জলের নিচে নিমজ্জি তঅতি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ

 






আবিষ্কার হল জলের নিচে নিমজ্জি অতি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ 


পিঙ্কি রায়,২৯এপ্রিল: দক্ষিণ ইতালির পোজুলি বন্দরের কাছে ইতালির প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নিচে নিমজ্জিত একটি অতি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন ।  এরপর এই মন্দিরের অংশবিশেষ অনুসন্ধানের সময় দেখা গেছে যে এখানে পাওয়া জিনিসপত্র এবং মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ নবাতিয়ান সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণত সেই সময় এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।


 পাহাড়ের ঈশ্বরের মন্দির:

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবাতিয়ান দেবতা দশেরার জন্য এই মন্দির উৎসর্গ করা হয়।  দশেরাকে নাবাতিয়ান সভ্যতায় পাহাড়ের দেবতাও বলা হত। এই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি গবেষকরা দুটি সুন্দর প্রাচীন রোমান মার্বেল বেদিও খুঁজে পেয়েছেন। 


এই নবাতিয়ান সাম্রাজ্যের শাসকরা একসময় ইউফ্রেটিস থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা শাসন করেছে।  উল্লেখযোগ্যভাবে, নবাতিয়ান ছিল রোমান সাম্রাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ সাম্রাজ্য। এখানে লোকেরা এই দেবতার পূজো করত।


 প্রকৃতির পূজো :

 এদেশের পুণ্যভূমিতে যেভাবে প্রকৃতিকে পুজো করা হয়।  এখানে গরু থেকে শুরু করে গাছপালা, পাহাড়-পর্বত সবকিছুরই পূজো হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।  হিমালয় পর্বত যেমন ভগবান শঙ্করের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কিত।  মা পার্বতী অর্থাৎ শিবের স্ত্রী পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা।


  দ্বাপর যুগে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং আঙুলে গোবর্ধন পর্বত তুলে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেছিলেন।  আজও লোকেরা সেই পাহাড়ের দিকে অগাধ বিশ্বাস নিয়ে তাকায়।  একইভাবে নবাতিয়ানরা অবশ্যই পাহাড়ের দেবতার পূজো করত।


  মন্দির ডুবে যাওয়ার রহস্য:

 তখনকার দিনে পোজুলি পুটিওলি নামে পরিচিত ছিল।  এই স্থানটি ছিল কাম্পানিয়া থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের প্রধান কেন্দ্র।  নবাতিয়ানরা, এই পুটিওলিতে তাদের ঘাঁটি তৈরি করে, তাদের পৃষ্ঠপোষক দেবতার উদ্দেশ্যে একটি মন্দির তৈরি করেছিল।  এলাকাটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রের কাছাকাছি ছিল, যার কার্যকলাপ পুটিওলির একটি অংশ নিমজ্জিত করেছে বলে মনে করা হয়।


নতুন এই আবিষ্কারের পর মন্দির সম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।  যা খুলে দিতে পারে ইতালির এই প্রাচীন শহরের মাটিতে চাপা ইতিহাসের আরও কিছু স্তর।  এই আবিষ্কারে আনন্দ প্রকাশ করেন ইতালির সংস্কৃতিমন্ত্রী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad