বিমানে ভ্রমণ করার সময় কিছু মানুষ এমন কিছু কাজ করে থাকে, যার কারণে বাকি যাত্রী এমনকি ক্রু সদস্যরাও সমস্যায় পড়েন। যেমন কেউ সিট পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করে। আবার যখন ঘুমনোর চেষ্টা করা হয় তখন কেউ জোরে কথা বলতে শুরু করে বা মোবাইলে সিনেমা দেখতে শুরু করে। কেউ কেউ আবার জুতো খুলে মোজা পরে বসে, এমনকি বিমানে অনেকে খালি পায়ে ঘোরাঘুরিও শুরু করে দেয়। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা বলে যে এটা করা উচিৎ নয়।কিন্তু কেন? চলুন জেনে নেই-
ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদনে, আঞ্চলিক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লেইশা পেরেজ বলেছেন যে বিমানে জুতো খুলে ফেলা কেবল একটি অভদ্র কার্যকলাপই নয়, এটি সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকরও। অনেক সময় বাথরুমের মেঝেতে জল থাকে এবং লোকজন তাতে হাঁটতে থাকে। তারা জানেন না সেই জলটি ময়লা হতে পারে। কারণ বিমানের টয়লেট সব সময় পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।
সংক্রমণের সম্ভাবনা:
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জানান, পায়ে এই তরল থাকার কারণে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন আছেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণের আশঙ্কাও অনেক বেশি। লেইশার এই বক্তব্যে আমেরিকার একজন ক্রু সদস্যও একমত হন।
বিমানে খালি পায়ে হাঁটা বা শুধু মোজা পরে থাকা একটি জঘন্য কাজ। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক অধ্যাপক জগদীশ খুবচান্দানিও লিখেছেন যে,অনেক লোক এবং বেশিরভাগ শিশু প্রায়শই দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটে খালি পায়ে বাথরুমে যায়। এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে এবং পায়ে আঘাত লাগলে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াতে পারে।
আসলে বিমানের কেবিনগুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয় না। এর কারণ পরিষ্কার করার জন্য মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট পাওয়া যায়। যার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই কেটে যায় সিটের পেছনে পকেটে থাকা আবর্জনা ফেলা এবং টয়লেটের দরজার হাতল পরিষ্কার করা ইত্যাদিতে। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহে একবার প্লেনের কার্পেট ইত্যাদি গভীর পরিস্কার করা হয়। অতএব, ফ্লাইট চলাকালীন, এই ধরনের কাজ করা একেবারে উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment