পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয় কাশ্মীরকে। প্রায়শই চলচ্চিত্র এবং বইগুলিতে কাশ্মীরি মেয়েদের বা মহিলাদের সৌন্দর্য সম্পর্কে প্রশংসা করা হয়। এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন প্রায়ই মাথায় আসে যে তারা ত্বকে কী লাগায় বা কী খায়, যাতে তাঁরা এতো সুন্দরী হন । চলুন তবে জেনে নেই-
বিশেষ ভেষজ জল :
কাশ্মীরি মহিলারা গর্ভাবস্থার পরে একটি বিশেষ ধরনের জল ব্যবহার করেন। যার কারণে তাদের আগের থেকে অনেক বেশি ফিট ও সুন্দর দেখায়। কিন্তু কাশ্মীরি মহিলারা মা হওয়ার ৪০ দিন পরেই এই ভেষজ জল দিয়ে স্নান করেন। যা লোসেহ আব হিসেবে পরিচিত । এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের ভেষজ, পাতা, বুনো ফল ও শিকড়। এই সবকিছু একটি পাত্রে রাখা হয় এবং ২ ঘন্টা সেদ্ধ করা হয়।
লসেহ আবে দেওয়া উপাদান :
গাঁদা:
গাঁদা ফুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি পাওয়া যায়। যা ত্বকের টিস্যুকে শান্ত করে। এছাড়াও ব্যথা কিছুটা কমায়।
কমফ্রে:
Comfrey একটি উদ্ভিদ, যা গর্ভাবস্থার পরে মহিলাদের শরীরের ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে।
মুলেথি :
মুলেথি একসাথে অনেক রোগ নিরাময় করে। এটি ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া নিরাময় করে।
কুরুমা
কুরুমা একটি অ্যান্টিসেপটিক, এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
তেজপাতা:
তেজপাতা অনেক ঔষধি গুণে ভরপুর এবং এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেশীতে অনেক স্বস্তি দেয়।
দুদল
দুদল এমন একটি ভেষজ, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলি দাগগুলিকে হালকা করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
হংসরাজ:
হংসরাজ হল এমন একটি ফুল বা উদ্ভিদ, যেটিতে ছত্রাকরোধী গুণ রয়েছে, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং শরীরে যে কোনো ধরনের সংক্রমণ ঘটলে তা দূর করতে কাজ করে।
চিকোরি:
এটি একটি ফুল, যার ত্বক নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে।
ভায়োলেট:
বেগুনি রঙের একটি ফুল, যা ত্বকের চুলকানি নিরাময় করে।
জুজুব ফল, চিনির খেজুর:
এই দুটি জিনিসই অ্যান্টি-এজিং উপাদান, এটি লাগালে বা খেলে ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করে। এই দুটি ফলই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
No comments:
Post a Comment