এক অদ্ভুত শান্তি পাওয়া যায় মহাদেবের মন্দির দর্শনে । মনে হয় পৃথিবীর সব দুঃখ ভুলে এক জায়গায় চলে এসেছি। কীভাবে আসে সেই মনের শান্তি তা রহস্যই রয়ে গেছে? আবার যেই মন্দির থেকে বাইরে বেরোনো হয়, তখন কেটে যায় সেই ঘোর ।
আমরা সকলেই মহাদেবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে চতুর্থ জ্যোতির্লিঙ্গ ওমকারেশ্বর মন্দিরের কথা জানি। কিন্তু ওমকারেশ্বর মন্দিরের এই অদ্ভুত রহস্য আজও কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। চলুন জেনে নেই সেই সম্পর্কে-
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের কাছে ওমকারেশ্বর মন্দির অবস্থিত। নর্মদা নদীর মাঝখানে ওমকার পর্বতে অবস্থিত এই মন্দিরটি।
এখানে ভগবান ব্রহ্মার মুখ থেকে ওম শব্দের উৎপত্তি হয়। তাই প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ বা বেদ ওম শব্দ দিয়ে পাঠ করা হয়। স্কন্দপুরাণ, শিবপুরাণ ও বায়ুপুরাণ প্রভৃতি পুরাণেও ওমকারেশ্বরের মহিমার উল্লেখ আছে। এর পাশাপাশি এখানে শিবলিঙ্গের আকৃতি ওমের আকারে রয়েছে। তাই এই জ্যোতির্লিঙ্গ ওমকারেশ্বর নামে পরিচিত।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এটিই একমাত্র জ্যোতির্লিঙ্গ, যেখানে ভগবান ভোলেনাথ ত্রিভুবন পরিদর্শন করে, রাতে এখানে বিশ্রাম নিতে আসেন। মা পার্বতীও এখানে বিরাজমান। এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে রাতে ঘুমনোর আগে ভগবান শিব ও মা পার্বতী এখানে চৌসার খেলেন। এই কারণে এখানে শয়ন আরতিও করা হয়। শয়ন আরতির পরে, জ্যোতির্লিঙ্গের সামনে প্রতিদিন একটি খেলার ওই বোর্ড সাজানো হয়।
এই মন্দিরে রাতে শয়ন আরতির পর কেউ গর্ভগৃহে যায় না। প্রতি রাতে শয়ন আরতির পর ভগবান শিবের সামনে চৌসার ও পাশা রাখা হয়। এবং সকালে মন্দিরের দরজা খুললে পাশা উল্টে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। ওমকারেশ্বর মন্দিরে, ভগবান শিবের গোপন আরতি করা হয় যেখানে পুরোহিত ছাড়া কেউ গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারে না। পুরোহিতরা শিবের বিশেষ পূজো ও অভিষেক করেন।
No comments:
Post a Comment