কোশরী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী নামে পরিচিত তিরুপতি বালাজি। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর তাঁর সহধর্মিণী পদ্মাবতীর সঙ্গে তিরুমালায় বাস করেন। কিন্তু এই মন্দিরের এমন অনেক রহস্য রয়েছে, যা এখনও অমীমাংসিত। কী সেটি আসুন জেনে নেই-
মূর্তি ঘামে:
তিরুপতি বালাজি মন্দিরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তিটি অতিপ্রাকৃত। এটি একটি বিশেষ পাথর দিয়ে তৈরি। এই মূর্তিটি এতটাই জীবন্ত যে দেখে মনে হয় যেন স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু এখানে বসে আছেন। প্রভুর মূর্তি ঘামে, ঘামের ফোঁটা দেখা যায় এই মূর্তিতে। তাই মন্দিরে তাপমাত্রা সর্বদা কম রাখা হয়।
রহস্যময় গ্রাম:
শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মন্দির থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে গ্রামবাসী ছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারে না। এই গ্রামের মানুষ খুবই সুশৃঙ্খল এবং নিয়ম মেনে জীবন যাপন করে। মন্দিরে দেওয়া জিনিস যেমন ফুল, ফল, দই, ঘি, দুধ, মাখন ইত্যাদি এই গ্রাম থেকে আসে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া সহ কর্পূর:
ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তির ওপর একটি বিশেষ কর্পূর লাগানো হয়। একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে যে এই কর্পূরটি যে কোনও পাথরে লাগালে কিছু সময়ের মধ্যে পাথরে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু ভগবান বালাজির মূর্তির ওপর কর্পূরের কোনো প্রভাব পড়ে না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই প্রদীপে কখনই তেল বা ঘি দেওয়া হয় না। এমনকি কখন এবং কে এই প্রথম প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তা এখনও কেউ জানে না।
No comments:
Post a Comment