বাড়ি খালি করার নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ অমর্ত্য সেন! মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৮ এপ্রিল, বীরভূম : নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিনিকেতনে অবস্থিত অমর্ত্য সেনের বাসভবন 'প্রতীচি'-এর ১৩ ডেসিমেল জমি ১৫ দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী এবং আরও কয়েকজন আইনজীবী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশ স্থগিত করতে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শুনানি হয়নি কারণ জেলা বিচারক সেখানে ছিলেন না এবং বিশ্ব ভারতী ইতিমধ্যেই একটি ক্যাভিয়েট দায়ের করেছে। সব দিক বিবেচনা করে আগামী ১৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন প্রিজাইডিং জজ। পাশাপাশি সব পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯ এপ্রিল রাতে একটি নোটিশ জারি করে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল যে অমর্ত্য সেন এবং তার সহযোগীরা, যারা ১৩.৫০ শতাংশ জমি দখল করেছে। এটি ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৬ মে এর মধ্যে খালি করতে হবে, অন্যথায় অমর্ত্য সেন এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উক্ত স্থান থেকে সরানো হবে।
বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “তারা অমর্ত্য সেনের মতো লোকদের আক্রমণ করছে। অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, আমি অবাক! কেউ বুলডোজার চালানোর চেষ্টা করলে সেখানে বসে প্রতিবাদ করব। আমি দেখাব, মানবতা শক্তিশালী, বুলডোজার শক্তিশালী নয়।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতীচীতে গিয়েছিলেন এবং এই বছরের জানুয়ারিতে অমর্ত্যকে পুরো ১.৩৮ একর জমি হস্তান্তর করেছিলেন। এর পরে কীভাবে বিশ্বভারতী তাদের ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার নির্দেশ দিতে পারে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এছাড়াও, অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর আবেদনে, প্রতীচির চারপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব বীরভূম জেলা প্রশাসনের হাতে। এর পরও তিনি 'উচ্ছেদ' নোটিশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশ্বভারতীর আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা।
No comments:
Post a Comment