নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংস ও যৌন অপরাধ বাড়ছে। এমতাবস্থায় আদালতের এ ধরনের মামলায় কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখাতে হবে না এবং দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করেছে। এর সাথে, বিচারপতি মোহন লালের বেঞ্চ ২০২১ সালের জুন থেকে সংশোধনাগারে থাকা এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, যিনি প্রতিবেশীর ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। আসামিপক্ষের আইনজীবী শুনানির সময় বলেছিলেন যে মেয়েটির মা ধর্ষণের ভুল গল্প পড়েছেন।
এ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারক বলেন, কোনও আত্মসম্মানিত নারী ধর্ষণের মিথ্যা গল্প বানাতে পারে না। আদালত বলেছে, কোনও নারী তার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের মিথ্যা গল্প বানিয়ে তার চরিত্রকে সন্দেহের আওতায় আনতে পারে না। আদালত তার নির্দেশে বলেছে, 'ধর্ষণ সমাজের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ, যার কারণে ভিকটিম গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কোনও আত্মসম্মানী নারী ধর্ষণের মিথ্যা গল্প বানাতে পারে না।'
বেঞ্চ বলেছে যে যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে যেকোনও ধরনের শিথিলতা ভুল এবং জনস্বার্থের পরিপন্থীও। নির্দেশে বলা হয়, আদালত যে নারী ও নাবালিকা শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে তা উপেক্ষা করতে পারে না। এটা কড়াভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ ধরনের মামলায় অভিযুক্তদের প্রতি নম্রতা দেখানো বা সদিচ্ছা দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। এমন অভিযুক্তকে জামিন দিলে বিচারের সামনেই বিপদ হবে।
ওই মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে লোকটি ১০ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল যেটি কাছের একটি কল থেকে জল তুলছিল। এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে এর পরও এক সপ্তাহ পর মেয়েটি তার বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানায়। অভিযুক্ত অবশ্য বলেছে যে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে মিথ্যাভাবে জড়িয়েছিলেন কারণ উভয় পরিবারই বাড়ির বাইরে একটি রাস্তা নিয়ে মামলায় লিপ্ত ছিল।
No comments:
Post a Comment