ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। সুইফট ডিজায়ার গাড়িটির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা। গাড়িতে থাকা দম্পতি ও চার শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের। জানা গেছে, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। শ্রীদত্তগঞ্জ থানার অন্তর্গত গোন্ডা উতরৌলা রোডে অবস্থিত দেওরিয়া বিশম্ভরপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সুপার কেশব কুমার জানিয়েছেন, ৪০ বছর বয়সী সোনু সাহু, গ্রামের ভাঙ্কুল, থানা শ্রীরামপুর, জেলা দেওরিয়ার বাসিন্দা, তার পরিবারের সদস্যদের সাথে গাড়িতে করে নৈনিতালে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় দেওরিয়া বিষম্ভরপুরের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িতে থাকা ছয়জনের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ির চালকের পকেটে আধার কার্ড পাওয়া গেছে যা থেকে তাকে শনাক্ত করা যায়।
শ্রীদত্তগঞ্জের ইনচার্জ বিপুল কুমার পান্ডে সঙ্গীদের নিয়ে টহলে ছিলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেন। সংঘর্ষ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গাড়ির সামনের অংশ ভেঙে পড়ে। এসপি জানিয়েছেন, আধার কার্ডে পাওয়া ফোন নম্বরের ভিত্তিতে স্বজনদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কানপুর থেকে তুলসিপুরগামী গোন্ডা ডিপোর রোডওয়েজ বাসটি গোন্ডা-বলরামপুর সড়কের কুয়ানো নদীর তীরে উল্টে যায়। এতে মৃত্যু হয় মৌ-এর রাগরপুরের বাসিন্দা রাজেশের। দুর্ঘটনায় আহত ১৭ যাত্রীকে মেমোরিয়াল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোন্ডা ডিপোর রোডওয়েজ বাস নম্বর UP 78 FT-9134 বুধবার রাত ৯ টায় কানপুর থেকে তুলসীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বলরামপুর সীমান্তে পৌঁছলে কুয়ানো নদীর তীরে সামনে থেকে আসা ট্রাকের হাত থেকে বাঁচাতে বাসটি উল্টে যায়। বাসটি উল্টে গেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সর্বত্র শুধু চিৎকার শোনা যায়।
স্থানীয় লোকজন ও বাসের চালক-অপারেটর জানালার কাঁচ ভেঙ্গে আটকে পড়াদের বের করতে থাকে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ডিএম ডক্টর মহেন্দ্র কুমার, এসপি কেশব কুমার, এডিএম প্রদীপ কুমার এবং এএসপি নমিতা শ্রীবাস্তব অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment