বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ! দগ্ধে মৃত ১, আহত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৫ এপ্রিল: অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু এবং দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকের পুরন্দা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকট বিস্ফোরণে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং আগুনে পুড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এগরার এক ব্লকের আরবিসি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরন্দা গ্রামে একটি পটকা কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া যুবকের নাম দুর্গাপদ জানা। তার মা গৌরী জানা ও বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা গুরুতর আহত হন। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
পটকা তৈরির কারখানাটি বেআইনি এবং কোনওভাবে পটকা তৈরির সময় আগুন লেগেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরন্দা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পটকা তৈরির কারখানা চলছিল। কারখানাটি অবৈধ ছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গাপদ জানা ও তার বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা কারখানা চালাতেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নারায়ণ চন্দ্র জানা এদিন দুপুরে পটকা বানাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটলে কারখানায় আগুন ধরে যায়। এ সময় কারখানায় উপস্থিত দুর্গাপদ জানা ও তার মা গৌরী জানার কাপড়েও আগুন ধরে যায়। আগুনের কবলে নারায়ণ চন্দ্র জানাও আসেন। কারখানা থেকে আগুন বের হতে দেখে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এরপর দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
জানা গিয়েছে, দমকলকর্মীরা দগ্ধ দুর্গাপদ জানা, নারায়ণ চন্দ্র জানা এবং গৌরী জানাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ততক্ষণে দুর্গাপদ জানার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত গৌরী জানা ও নারায়ণ চন্দ্র জান এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এগরা থানার আইসির নেতৃত্বে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল এবং অবৈধ বাজি কারখানা দীর্ঘদিন কীভাবে চলছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment