পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরোর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 11 April 2023

পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরোর



পদত্যাগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরো। ছাড়লেন দলও। তিনি উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের অফিসে গিয়ে পদত্যাগপত্র তুলে দেন।  পদত্যাগের পর লুইজিনহো ফেলেইরো বলেন, "আমি স্বেচ্ছায় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।" তবে রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পদত্যাগের বার্তা দেওয়া হয়েছে।


 

লুইজিনহো ফেলেইরোর এমপি হিসাবে মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে কেন তিনি প্রায় তিন বছর আগে পদত্যাগ করলেন?  এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।



 লুইজিনহো ফেলেইরো ২০২১-এ কংগ্রেস ত্যাগ করার পর, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।  একই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর শিল্পী অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।  ২৯ সেপ্টেম্বর, লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে হাত মিলিয়ে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।  এরপর তাকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা হয় এবং তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।  তাঁকে সর্বভারতীয় সংগঠনে সহ-সভাপতির পদও দেওয়া হয়।  সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হলেও তিনি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেলেইরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।  ২০২২ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও ভালো ফল পায়নি তৃণমূল।  প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ বর্তমানে গোয়া তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদে রয়েছেন।



লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগের ফলে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদের সংখ্যা কমে ১২ হয়েছে।  তবে এই আসনে উপনির্বাচন হলে বিধানসভায় বিধায়কের সংখ্যার নিরিখে তৃণমূল সহজেই জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে।  তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বলছেন, শিগগিরই দলের পক্ষ থেকে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।  লুইজিনহো ফেলেইরোর আকস্মিক পদত্যাগের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।  দিল্লীতে তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকেরা দাবি করেছেন যে তিনি অসুস্থতার কারণে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পরে তিনি নিজেকে দল থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন।  এমনকি গোয়া তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতেও তাঁকে বা তাঁর সমর্থকদের জায়গা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad