সল্টলেকে ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণে তীব্র আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৩ এপ্রিল: সল্টলেকে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। আগুনের তাপ ও একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্ক এলাকায়। পুড়ে ছাই প্রায় ৫০ টির বেশী ঘর। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রবিবার সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ ফাল্গুনি বাজারের পেছনে থাকা ঝুপড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, জীবন ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, 'সকলেই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। ফলত খুব সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। অনেকটাই বেগ পাওয়া গিয়েছে আগুনে। আর খানিকটা সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।'
দমকল সূত্রে খবর, একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এবং হাওয়ার জেরেই আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। আগুনের গ্ৰাসে চলে আসে গোটা ঝুপড়ি। জানা গিয়েছে, পাশের কয়েকটি বাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে। কীভাবে আগুন, তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, সরকারি ভাবে হতাহতের কোনও খবরও মেলেনি। আগুন যেন আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এলাকার।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই তপসিয়ার সাপগাছি অটোস্ট্যান্ডের কাছে থাকা একটি পিভিসি-র কারখানায় আগুন লাগে। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে পাশের একটি প্লাস্টিকের গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের প্রায় ১০ টি ইঞ্জিনের ঘন্টা দেড়েকের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দমকল সূত্রে খবর, কারখানায় সিইএসসি (CESE) বক্স আচমকাই বিকট শব্দে ফেটে যায় এবং সেই থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন সন্ধ্যায় ওই কারখানার ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখে আরও ছয়টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনে বেগ পেতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় দমকলকে।
No comments:
Post a Comment