চোরা পথে নকল পোশাকের কারবার! ইবির হানায় গ্ৰেফতার ২ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 27 April 2023

চোরা পথে নকল পোশাকের কারবার! ইবির হানায় গ্ৰেফতার ২


চোরা পথে নকল পোশাকের কারবার! ইবির হানায় গ্ৰেফতার ২



নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৭ এপ্রিল: চোরা পথে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নকল অন্তর্বাস আনার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বেশ কয়েক বস্তা নকল সামগ্ৰী উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার দক্ষিণ কালিয়ানী গ্রামে। ধৃতদের নাম আবুল কাশেম, বাড়ি দেগঙ্গার দক্ষিণ কালিয়ানী গ্ৰামে এবং মশিউর রহমান, বাড়ি স্বরূপনগর থানার বড়বাঁকড়া গ্ৰামে। 


জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, একটি নামি কোম্পানির অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দুপুরে দেগঙ্গার দক্ষিণ কালিয়ানী গ্রামে আবুল কাশেমের একটি কাপড়ের গোডাউনে দেগঙ্গা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন ডিইবি আধিকারিকরা। সেইসময় একটি সাদা চার চাকা গাড়িতে করে বাংলাদেশ থেকে সামগ্ৰী গোডাউনে নামাচ্ছিল অভিযুক্তরা। মাল-সহ গাড়িটিকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে বেশ কয়েক বস্তা নকল সামগ্ৰীও আটক করেন তারা। পাশাপাশি গোডাউনে তল্লাশি চালিয়ে আরও বেশ কিছু নকল সামগ্ৰী এবং স্টিকার উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। 


ডিইবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এদেশের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির স্টিকার লাগানো পুরুষ এবং মহিলাদের অন্তর্বাস এনে দেগঙ্গার এই গোডাউনে মজুত করা হত। এরপর সেগুলো অপেক্ষাকৃত কম দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রির রমরমা ব্যাবসা ফেঁদেছিলেন ব্যবসায়ী আবুল কাশেম। এর জেরে বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির সামগ্রীর ব্যবসা তলানিতে ঠেকছিল। 


সম্প্রতি একটি নামি কোম্পানির আধিকারিকরা অনুসন্ধান চালিয়ে এই গোডাউনের বিষয় জানতে পারেন। এরপরেই ওই নামি কোম্পানির পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয় জেলা এনফোর্সনেন্ট ব্রাঞ্চে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন দুপুরে দেগঙ্গা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দেগঙ্গার দক্ষিণ কালিয়ানী গ্রামের আবুল কাশেমের গোডাউনে হানা দেন জেলা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকরা।


ধৃতদের জেরা করে আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই সামগ্ৰীগুলো বাংলাদেশ থেকে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভোমরা সীমানা পেরিয়ে এপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় আসত। সেখান থেকে গাড়িতে করে চলে আসত দেগঙ্গায় গোডাউনে। গোডাউন থেকেই জেলা সহ কলকাতার বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হতো। ধৃতেরা অবশ্য স্বীকার করেছে এই ব্যবসার জন্য তাদের কাছে বৈধ আমদানি-রপ্তানির কাগজপত্র নেই।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকেই কোটি টাকার নকল তেল বাজেয়াপ্ত করে ডিইবি। আমডাঙা থানার তারাবেড়িয়ায় একটি কারখানায় দুটি বহুজাতিক নামি সংস্থার প্রসাধনী তেল তৈরি হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেল সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে জানানো হয় এবং অভিযোগ পেয়েই সেখানে হানা দেয় তারা। 


তাদের সাথে ছিল আমডাঙা থানার পুলিশ ও তেল সংস্থার আধিকারিকরা। গ্ৰামের মধ্যে গাড়ি ঢুকতেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শেখর শাউ ও সানি শা। কারখানায় থাকা খালি ও ভর্তি বোতল সংস্থার লেবেল, বিভিন্ন ধরণের মেশিন ও তেল তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করে কারখানা সিল করে দেয় জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad