রাস্তায় নামাজ পাঠ! ১৮০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ এপ্রিল : প্রশাসনের অস্বীকৃতির পরে, কানপুরে ১৮০০ নামাজি রাস্তায় বসে ঈদের নামাজ পড়েন। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এই ঘটনায় কানপুর কমিশনারেট পুলিশ নামাজিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে ইদগাহ কমিটির সদস্যদের অভিযুক্ত করে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ। তাদের সবাইকে বক্তব্যের জন্য ডাকা হয়েছে। একইভাবে, কানপুরের বাবু পুর্বাতে ৫০ জনেরও বেশি উপাসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রমজানের আগেই উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকার এবং সমস্ত জেলার পুলিশ ও প্রশাসন নামাজিদের সতর্ক করেছিল। নামাজের অজুহাতে কেউ যেন সড়কে যান চলাচলে বাধা না দেয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়। সরকারি এই নির্দেশের পর অনেক মসজিদে প্রকাশ্যে ঘোষণাও দেওয়া হয় যে, কোনও মুসলিম রাস্তায় বসে নামাজ পড়বেন না।
তা সত্ত্বেও কানপুরের জাজমউ থানা এলাকা এবং বাবু পূর্ব থানা এলাকায় রাস্তায় নামাজ পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এই দুটি ঘটনায়ই পুলিস তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।জাজমউ থানার এলাকায় রাস্তায় নামাজ পড়ার অভিযোগ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর রাজবাহাদুর সিং। এতে তিনি ইদগাহ কমিটির আধিকারিকদের অভিযুক্ত করে বলেন, "সড়কে নামাজ পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং অনেক স্থানে জ্যাম হয়।"
একইভাবে, ইন্সপেক্টর ওমবীর সিং বাজরিয়া থানায় একই ধরনের অভিযোগ করে নামাজিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যদিও ইন্সপেক্টর ব্রিজেশ সিং বাবু পূর্ব থানায় ৫০ জন নামাজির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে জনসাধারণের যান চলাচলে বাধা, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরকার রাস্তায় নামাজ বা খোলা জায়গায় নামাজের বিষয়ে কড়া। উত্তরপ্রদেশে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে প্রত্যেকেরই পূজা করার অধিকার রয়েছে, তবে অন্য কাউকে এতে বিরক্ত করা উচিৎ নয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার খোলা জায়গায় নামাজ পড়া কড়াভাবে নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে সব জেলায় সব মসজিদের ম্যানেজারকে খোলা জায়গায় নামাজ পড়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment