লেবু- লঙ্কা কুনজর রোধ করে, দই খেলে কাজ হয়; জেনে নিন এসবের সত্যতা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২২ এপ্রিল: আপনি ছোটবেলা থেকে বাবা বা বাড়ির বড়দের কাছ থেকে অনেক প্রবাদ শুনেছেন। এই কথাগুলো বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। মানুষও এই বিষয়গুলো পুরোপুরি অনুসরণ করে। একই সঙ্গে কেউ কেউ এসব বিষয়কে নিছক কুসংস্কারও বলে থাকেন। তবে, এই ক্ষেত্রে হয় না। আমাদের দেশে যে কথাগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে।
লেবু লঙ্কা
এ দেশের লোকেরা বিশ্বাস করে যে বাড়িতে, দোকানে বা কোনও কর্মক্ষেত্রে লেবু এবং লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখলে অশুভ দৃষ্টি হয় না। অনেকে যানবাহনেও লাগান। তারা বিশ্বাস করে যে এটি খারাপ নজর এড়াতে একটি কার্যকর উপায়। তবে এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। লেবু ও লঙ্কার মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এতে দূষিত বাতাস ও পোকামাকড় ঘুরে বেড়ায় না।
নখ
ছোটবেলা থেকেই শুনে থাকবেন যে রাতে নখ কাটা উচিৎ নয়। এটা করা ভালো মনে করা হয় না। অন্যদিকে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার কথা বললে, পুরনো দিনে নেইল কাটার আবিষ্কার হয়নি। এ জন্য কিছু ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হত । একই সঙ্গে রাতে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আঙুল কেটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।
চুড়ি
হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের জন্য চুড়ি খুলে ফেলা নিষিদ্ধ। এমনটা করাকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে স্বামীর উপর কষ্টের পাহাড় ভেঙে যেতে পারে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তির কথা বললে, চুড়ি পরলে হাতের রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে।
দই
অনেকে যখন কোনো কাজে বাড়ি থেকে বের হন বা পরীক্ষা দিতে যান তখন দই ও চিনি খান। তারা বিশ্বাস করেন যে এটি করার মাধ্যমে, তারা যে কাজটি করতে যাচ্ছেন তা সফল হবে। অন্যদিকে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ সম্পর্কে বলতে গেলে, দই খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং চিনি সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
দৃষ্টতা
শৈশবে অনেক সময় আমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখতে বের হতাম, তখন আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা তা করতে নিষেধ করতেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ভিতরে রাখা হত। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তির কথা বললে, যখনই সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয়, তখনই অতি বেগুনী রশ্মি উৎপন্ন হয়, যা খালি চোখে দেখলে ক্ষতিকর হতে পারে। একই সঙ্গে এসব রশ্মির প্রাদুর্ভাবের কারণে গর্ভবতী নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর চর্মজনিত রোগ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment