রাজধানীর উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যেই এই যাত্রা বের করা হবে। বুধবার গভীর রাতে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হয়। পুলিশ এই মিছিলের জন্য আয়োজকদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। মাঠে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
একই সঙ্গে ড্রোনের মাধ্যমেও আকাশ থেকে যাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হবে। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পশ্চিমবঙ্গে এই উপলক্ষে বের হওয়া মিছিলের নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু জায়গায় রাজ্য পুলিশ এবং অনেক জায়গায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে যাত্রা চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই দুটি স্থানেই নিরাপত্তা কর্মীদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে এবং নৈরাজ্যবাদীদের সঙ্গে কড়াভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলায়, হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে বলেছে যে কোনও অবস্থাতেই সহিংসতা সহ্য করা হবে না।
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশ এবং প্রশাসন আয়োজকদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে যাত্রাটি সেই জায়গাগুলির মধ্য দিয়ে যাবে না যেখানে ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বা সেই এলাকাগুলি স্পর্শকাতর। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও প্রশাসনও অনেক জায়গায় আয়োজকদের উল্লেখ করা যাত্রা রুটে কিছু পরিবর্তন করেছে। যাত্রাও যেন জাঁকজমকপূর্ণ হয় এবং কোনও ধরনের ঝামেলা না হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার গভীর রাতে পুলিশের বিশেষ সিপি দীপেন্দ্র পাঠক জানান, জাহাঙ্গীরপুরীতে শোভাযাত্রা বের করার অনুমোদন দেওয়া হলেও পুলিশি পাহারায় এই যাত্রা বের হবে। দুদিন আগে দিল্লী পুলিশকে চিঠি দিয়ে মিছিল বের করার অনুমতি চেয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লী পুলিশ যাত্রার রুট চার্ট চেয়েছিল। এর পরে দিল্লী পুলিশ প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও পরামর্শ দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল চলাকালে জাহাঙ্গীরপুরীতে সহিংস ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত রুট থেকে যাত্রা বের করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে পথের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া যাত্রার সময় ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি করা হবে।
মহাবীর জয়ন্তী ও শোভাযাত্রাকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরপুরীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে দিল্লী পুলিশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকলেও মসজিদের চারপাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। গত বছর এই স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মিছিলের রুট ইতিমধ্যেই ঠিক করা হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী তা পরিবর্তনও করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment