একটা সময় ছিল যখন লোকেরা বিবাহ বিচ্ছেদকে একটি বড় বিষয় মনে করত। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তারা বিয়ের অনুষ্ঠান করতেন। তবে, আজকাল তা হয় না, সাজানো বিয়ে হোক বা প্রেমের বিয়ে, এমন অনেক ঘটনাই আসে যখন বিয়ের কয়েক মাস পর দম্পতিদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ যাই হোক না কেন, রাশিফলেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জন্মকুণ্ডলীতে এমন কিছু যোগ রয়েছে, যার কারণে দাম্পত্য জীবনে সব সময় সমস্যা থাকে এবং বিষয়টি বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কার্যকারক গ্রহ
মঙ্গল দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে থাকলে বৈবাহিক সমস্যা দেখা দেয়, পাশাপাশি দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করলে এবং তাদের রাশিতে তাদের অধিপতি বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা তৈরি করে। সূর্য, মঙ্গল, শনি, রাহু এবং কেতুর মতো গ্রহগুলি বিবাহবিচ্ছেদ যোগ করে।
আরোহী রাশিফল
যদি সপ্তম ঘরে থাকে ষষ্ঠ ঘরে, তাহলে অষ্টম ঘরে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। সপ্তম ঘরের অধিপতির সঙ্গে ষষ্ঠ বা অষ্টম বাড়ির অধিপতির মিলনও দাম্পত্য সমস্যা তৈরি করে। অন্যদিকে, মঙ্গল যদি কারো জন্মের প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম এবং দ্বাদশ ঘরে অন্য কোনও অশুভ গ্রহের সাথে যুক্ত থাকে এবং আরোহী রাশিতে সপ্তম বাড়ির অধিপতি ষষ্ঠ ঘরে অবস্থান করে এবং তার দ্বারা দৃষ্টিপাত করা হয়। মঙ্গল, তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
শুক্র
এর পাশাপাশি কারোর কুণ্ডলীতে ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে গ্রহের অবস্থা থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। অন্যদিকে শুক্র যদি পুরুষের কুণ্ডলীতে পীড়িত হয় এবং মঙ্গল যদি নারীর কুণ্ডলীতে পীড়িত হয় তাহলে দাম্পত্য জীবনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
শনি-মঙ্গল
কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রথম ও সপ্তম ঘরে বা পঞ্চম ও একাদশ ঘরে শনি ও মঙ্গল পরস্পরের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দাম্পত্য সমস্যা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি সপ্তম বা অষ্টম ঘরে শনি ও মঙ্গল উভয়ের দৃষ্টি বিবাহিত জীবনে সমস্যা তৈরি করে।
No comments:
Post a Comment