কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের! বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
নিজস্ব প্রতিবেদন, উত্তর দিনাজপুর, ২৭ এপ্রিল : গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। বুধবার এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহার থেকে লোক আনা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করতেও এই পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে কালিয়াগঞ্জ নিয়ে নানা তথ্য। প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ যাতে কোনও মিথ্যা বা প্রদাহজনক তথ্য না থাকে এবং পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য। আগামী কয়েকদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ফোন, এসএমএস বা খবরের কাগজের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার এখানে অশান্তি হয়। পুলিশের গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারধর করা হয়।
বুধবার নবান্ন থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবী করেন, "বিহার থেকে গুন্ডা ডেকে আনা হয়েছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। মহিলা পুলিশকেও তোলা হয়। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিও ধ্বংস করা হয়। আমি পুরো বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।"
জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের মহাপরিচালককে প্রশ্ন করেন, "এই ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দারা কেন কাজ করল না? পুলিশের ওপর হামলা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?" মমতার সাফ মন্তব্য ছিল, "পুলিশের ওপর ঢিল ছোঁড়া হচ্ছে। এই সাহস কোথা থেকে? আমি এটা সহ্য করব না।"
এদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পুলিশ এবং নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের মারধরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। সিভি আনন্দ বোস ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment