দুর্ঘটনার কবলে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গড়ফা ক্রসিংয়ের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি।গড়ফা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেইনারে ধাক্কা মারে বিধায়কের গাড়ি। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। বিধায়ক ও আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও বিধায়ক নিরাপদে রয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাতরাগাছির কাছে। নওশাদ সিদ্দিকী গাড়ির ভেতরে ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে। গাড়ির সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, নওশাদ সিদ্দিকী বিধানসভায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। এরপর হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। হঠাৎ বিধায়কের গাড়ির সামনে একটা বড় গাড়ি এসে থামল। তারপর ওই গাড়ির পিছনে এসে বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারে। যদিও বিধায়ক ও তার চালক নিরাপদ রয়েছেন।
তবে বিধায়ক প্রশ্ন তুলেছেন হঠাৎ গাড়ি থামল কেন? জানা গেছে, যে গাড়ির পেছনে ISF নেতার গাড়িটি ধাক্কা মারে। সে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। তবে প্রশ্ন উঠছে হাইরোডে হঠাৎ ব্রেক লাগালেন কেন? গাড়ির চালককে পুলিশ আটক করেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। নওশাদ সিদ্দিকীকে একজন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
নওশাদ সিদ্দিকী জানান, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ। তিনি আরও বলেন, "গাড়ি যেভাবে ব্রেক লাগায় আমার ড্রাইভার যদি একটু অন্যরকম হতো, আমি হয়তো বাঁচতে পারতাম না। আমি বেঁচে গেলাম কারণ আমার গাড়ির চালক দক্ষতার সাথে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। সামনের গাড়ির চালক অল্প দূর থেকে হঠাৎ ব্রেক লাগান। তাই শুধু আমার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় ছিল যেখানে গাড়িটি হঠাৎ ব্রেক কষে এবং ১৫০ মিটারের মধ্যে কোনও সংকেত ছিল না। কেন থেমে গেল সেই রহস্যের সমাধান করতে পারলাম না। আমি বুঝতে পারি যে আমি লক্ষ্যে আছি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। আমি বলতে পারব না কারণ আমরা মানুষকে সতর্ক করি, তবে আমি ভয় পাচ্ছি। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ওই জায়গায় গাড়ি থামল কেন? তবে আমি অবশ্যই সমাবেশে যাব।"
No comments:
Post a Comment