নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্ৰেফতার এক। ধৃতের নাম খালেক মণ্ডল। তিনি ঐ চায়ের দোকানেরই মালিক। তার বাড়ি হাসখালি রামনগরের বড় চুপড়িয়া গ্রামে। শুক্রবার ভরা বাজারে চায়ের দোকানের সামনে খুন হন তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি আমোদ আলী বিশ্বাস। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ। শনিবার ধৃতকে রানাঘাট আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বাজার করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি। বাজার করতে বেরিয়ে একটি স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ৭ থেকে ৮ জনের এক দুষ্কৃতী-দল মোটরসাইকেল করে এসে আমোদ আলী বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। চায়ের দোকান থেকে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুটা দূরে দৌড়ে যেতেই তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা, লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তৃণমূল নেতাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, মুখ ঢাকা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা এসেছিল এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে চম্পট দেয় তারা। সাত সকালে ভরা বাজারে গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসীরা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কি কারণে গুলি করা হল তার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি।
এই ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে হাসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও বোমাবাজি অস্ত্র মজুদ রাখা ও খুনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে একটি মামলায় বেশ কিছুদিন জেল খেটে সপ্তাহ-খানেক আগেই ছাড়া পান তিনি। ব্যক্তিগত শত্রুতা, পুরনো অপরাধ রোগ, না রাজনৈতিক কারণ! গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে কোনটি, এখনও পরিষ্কার নয়।
No comments:
Post a Comment