হুগলি রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির অভিযোগ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখলেন আহত বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে চিঠি পাঠান তিনি। বাংলায় অশান্তির পরিবেশ বর্ণনা করে তিনি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবী করেন। উল্লেখ্য, রবিবার রিষড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে সহিংসতার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, মিছিলটি সন্ধ্যাবাজার এলাকায় পৌঁছতেই তোলপাড় শুরু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মিছিলে বিঘ্ন ঘটাতে সেখানে অপেক্ষা করছিল একদল দুষ্কৃতী। তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও উঠেছে। মারামারিতে আহত হয়েছেন পুরশুরার বিধায়ক বিমান ঘোষ।
রবিবারের ঘটনা বর্ণনা করে চিঠিতে বিমান ঘোষ লেখেন, মিছিলে বিশৃঙ্খলা ও হামলার সময় রাজ্য পুলিশ 'নীরব দর্শকের' ভূমিকা পালন করেছে। পরে নিরাপত্তার নামে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগী বিধায়ক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এবং সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ের কাছে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন করেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বিমান ঘোষ। তাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন তিনি।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির দাবী খারিজ করে দিয়েছে। শ্রীরামপুর তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, “আমি জানি না দিলীপ বাবু কী বলছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি ছিল না। বহিরাগতদের আনা হয়েছিল মিছিলে। ওই এলাকার বাসিন্দা নয় এমন লোকদের নিয়ে মিছিলের সময় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না।"
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি নিয়মতান্ত্রিক অশান্তি ছড়াতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।"
No comments:
Post a Comment