রাম নবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়া ও হুগলিতে সহিংসতার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপি নেতা। সোমবার, চন্দ্রকোণার সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে 'নো ভোট টু মমতা' স্লোগান দেন এবং বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৯৪টি আসনে পরাজিত করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বাংলাকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, বাংলার অবস্থা সেখানের থেকেও খারাপ।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “রাম নবমীর মিছিলে বারবার হামলা হয়। আমাদের বিধায়ক, কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটা সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ। জনগণ যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ধ্বংস না করে, তবে আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হবে।"
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যারা সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চান, মমতাকে ভোট দিতে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি সরাতেই হয়, তাহলে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। রাজ্যের সমস্ত ২৯৪টি আসন থেকে তাঁকে সরাতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট না দেওয়ার। এটা জনগণের জোট। মূলত বামে আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। দুজনের কথাই এক। রাজ্য যেমন বিধানসভা খালি রেখেছে, ভবিষ্যতে তৃণমূলও খালি হবে। সিপিএম ত্রিপুরায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়েছে।"
উল্লেখ্য, এই সময় শুভেন্দু 'নো ভোট টু মমতা' লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন।
এর আগে সোমবার সকালে পড়শুরার আহতবিধায়ককে দেখতে হাসপাতালে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমরা আমাদের ধর্মে বিশ্বাসী এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু শিবপুর, ডালখোলা, রিষড়ায় যা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এই সরকারের মনে হিন্দু সনাতন ধর্মর প্রতি শ্রদ্ধা নেই। হট্টগোলের সময়ও পুলিশ সব কিছু দেখছিল। নইলে মিছিলকারীদের ধরা হবে কেন?" তিনি বলেন, "মিছিলে বিজেপির পতাকা ছিল না, তাহলে বিজেপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন?"
রবিবার সন্ধ্যায় রিষড়ায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় রাম নবমীর মিছিল চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মিছিল লক্ষ্য করে ইট, কাঁচের বোতল ছোঁড়া হয়। এই মিছিলে শামিল ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হামলায় আহত হয়েছেন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ।
No comments:
Post a Comment