গর্ভাবস্থা মহিলাদের জীবনের একটি বিশেষ পর্যায় এবং এই সময়ে মহিলাদের নিজের এবং তাদের সন্তানের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। যেহেতু শিশুর প্রাথমিক বিকাশ গর্ভেই ঘটে, তাই শিশুকে একটি সুস্থ, অনুকূল এবং সঠিক পরিবেশ পেতে হবে যাতে সে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। সুস্থ মাতৃত্বের জন্য, গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় এবং প্রসবের পরে কী কী যত্ন নেওয়া উচিৎ সে সম্পর্কিত কিছু টিপস জেনে নিন।
স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার জন্য যেগুলো করবেন :
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন -
গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের স্তরে অনেক পরিবর্তন হয় এবং এর কারণে উদ্বেগ এবং ক্লান্তির মতো সমস্যাগুলি বেশি দেখা যায়। এসবের কারণে ঘুমের চক্র ব্যাহত হতে পারে এবং এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা হতে শুরু করে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে বলা হয়। রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পাশাপাশি, দিনেও অল্প ঘুমিয়ে নিন।
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন -
গর্ভাবস্থার ৯ মাসে অনুভূত হওয়া অনেক সমস্যার মোকাবিলা করতে আপনি ব্যায়ামের সাহায্য নিতে পারেন। অনিদ্রা, স্থূলতা, পেশীতে ব্যথা, মেজাজের পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলি ওয়ার্কআউট করলে কম অনুভূত হয়। তাই, গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জল পান করুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন -
ডিহাইড্রেশন অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রি-টার্ম জন্মের অবস্থা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করুন। জলের প্রয়োজন মেটাতে আপনার খাদ্যতালিকায় নারকেল জল, ফলের রস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তরলও অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও কম অনুভূত হয়।
সুস্থ গর্ভধারণের জন্য করবেন না যে ভুলগুলো :
ধূমপান এড়িয়ে চলুন -
গর্ভাবস্থায় সিগারেট খাবেন না এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করবেন না। কারণ, এমনটা করলে জন্মের সময় শিশুর ওজন কমে যেতে পারে বা পরবর্তীতে লেখা-পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
অ্যালকোহল পান করবেন না -
গর্ভবতী মহিলাদের অ্যালকোহল পান করা উচিৎ নয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলারা গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল পান করেন তাদের শিশুদের পড়তে ও লেখার সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, তারা আচরণগত সমস্যা অনুভব করতে পারে। তাদের বিকাশও ধীর হতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment