পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জোড়াফুলে ভাঙন। এবারে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিধানসভা কেন্দ্র রতুয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন। দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন জেলা তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাহা, মালদহের রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহাম্মদ টিপু সুলতান, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের চারজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কয়েকশো কর্মী। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন যোগদান কর্মসূচি থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচক বিধানসভার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলম। তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস বিট দিতে এলে তাদের পাল্টা বিট দেওয়া হবে।'
মালদহের রতুয়ায় কংগ্রেসের যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের তিন প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভা রতুয়ায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করলেন বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এক জেলা তৃণমূল নেতা ও কয়েকশ কর্মী। দলত্যাগ করেই জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় ও জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাহা ও রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহাম্মদ টিপু সুলতান।
প্রদীপ সাহা বলেন, 'পঞ্চায়েতে দুর্নীতি এবং প্রার্থী করার নামে দলের কর্মীদের থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে দল ত্যাগ করলাম।'
মহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, 'দলে পুরোনো লোকদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না দলের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে। তাই দল ত্যাগ করে কংগ্রেসের যোগদান করলাম।' রতুয়ায় কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হল, দাবী জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলমের। তিনি বলেন, 'মালদা জেলা জুড়ে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল বিট দিতে আসলে আমরাও পাল্টা বিট দেব, আমরা চুরি পরে বসে নেই।'
দলে ভাঙ্গন প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে যারা দল ছেড়েছিল, যাদের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদের যোগদান করিয়ে যাত্রাপালা করছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতার হুঙ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যাদের পিছনে লোক নেই, জন নেই, একা গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের প্রশ্নের উত্তর কি দেব! আর নিজেদের ইতিহাস তারা ভুলে গেছেন; ৭২ থেকে ৭৫ সালে বাংলায় কিভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলেন তারা।'
No comments:
Post a Comment