'ভেঙে পড়বেন না', চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ মে, কলকাতা : প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল করার পরে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ আন্দোলনকারীদের নিশানা করেন। চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি লড়াই লড়বেন বলে জানান তিনি। চাকরিহারা ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, “কেউ ভেঙে পড়বেন না। পাশে আছি।"
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলায় তোলপাড় চলছে। গত সপ্তাহে, কলকাতা হাইকোর্ট ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল ঘোষণা করেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যারা ২০১৪ টেট প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ প্যানেল থেকে যাদের প্রশিক্ষণ নেই তাদের চাকরি বাতিল করেছেন।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, " এবারও ৩ শতাংশ ডিএ পেয়েছে ওরা। তারপরও প্রতিদিন লড়ছে। আর আজ তাদের জন্য ৩৬ হাজার চাকরি হারিয়েছে। অনেক পরিবার অসহায়। তাই আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব।" এরপর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'শুনেছি অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন। ভেঙ্গে পড়বেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। আমাদের সরকার মানবিক। মানুষের পাশে থাকে। আমরা আইনি লড়াই লড়ব। আশা করি আপনারা ভালো থাকবেন।" মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে তিনি এই ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াবেন।
অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিম বলেছেন যে, "প্রয়োজনে কেন্দ্রের চাকরি বেছে নিন তবে বেশি ডিএ মিলবে।" স্পষ্টতই বলেছেন যে ডিএ ঐচ্ছিক, বাধ্যতামূলক নয়।
এদিকে ডিএ আন্দোলনে জড়িত এক শিক্ষকের বদলির ঘটনা সামনে আসতেই সে বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি। তিনি বদলির নির্দেশও স্থগিত করেন। ঘটনাচক্রে, হাওড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং অভিযোগ করেন যে তিনি ডিএ আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment