রহস্যময় এই সমুদ্র সৈকতের জল কিছু সময়ের জন্য হয়ে যায় অদৃশ্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 31 May 2023

রহস্যময় এই সমুদ্র সৈকতের জল কিছু সময়ের জন্য হয়ে যায় অদৃশ্য

 





রহস্যময় এই সমুদ্র সৈকতের জল কিছু সময়ের জন্য হয়ে যায় অদৃশ্য



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১মে : গরমে কেউ কেউ পাহাড়ে দিন কাটাতে চায় আবার কেউ কেউ সৈকতে মজা করতে পছন্দ করেন। এই বিশ্বে নানা দেশে অনেক সৈকত আছে।  কিন্তু, জানেন কী যে আমাদের দেশে এমন একটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে যার জল কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তারপরে আবার ফিরে আসে? কোথায় সেই জায়গা চলুন জেনে নেই-



 এদেশে এমন অনেক জায়গা আছে, যার রহস্য আজ পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি।  বিজ্ঞানীরাও দীর্ঘদিন ধরে তার রহস্য জানার চেষ্টা করছেন, এই রহস্যগুলোর মধ্যে একটি হল ওড়িশার চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত।  এই সৈকত অন্যান্য সৈকত থেকে আলাদা।  কারণ চণ্ডীপুরের সমুদ্রের জল কিছুক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যায়।



 ওড়িশা রাজ্যের বালাসোর গ্রামের কাছে অবস্থিত চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত রহস্যে পূর্ণ এক অনন্য সমুদ্র সৈকত।  চাঁদিপুর সৈকত থেকে সমুদ্রের জল সময়ে সময়ে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং কিছু সময় পরে আবার দেখা দিতে শুরু করে।  এই রহস্যময় সমুদ্র সৈকতটি ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে।  



 চাঁদিপুর একটি নির্জন সমুদ্র সৈকত।  এদিকে সমুদ্রের জল হঠাৎ কয়েক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে।  বালেশ্বর বা বালাসোর স্টেশন থেকে চাঁদিপুর ৩০ কিলোমিটার দূরে।  বালাসোর ওডিশার একটি ছোট শহর, চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত এখানে অবস্থিত।


 

 হারিয়ে যাওয়া জল ফিরে আসার কারণে এটি হাইড অ্যান্ড সিক  বিচ নামেও পরিচিত।  চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত ক্যাসুরিনা গাছ,  জল এবং উপকূলীয় গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত, বলা হয় যে এই অদ্ভুত প্রাকৃতিক ঘটনাটি প্রতিদিন দুবার ঘটে।  দিনে দুবার সমুদ্র ভাটার সময় তার জল নিয়ে যায় আর পড়ে উচ্চ জোয়ারের সময় সমুদ্র সৈকতে ফিরে আসে সেই জল।


 

এই ঘটনাটি সৈকতের জন্য অনন্য বলে মনে করা হয়।  জোয়ার হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। এই জোয়ার হওয়ার সঙ্গে চাঁদের যোগ রয়েছে যা আমরা জানি। কিন্তু এখানে জোয়ার ভাটা হওয়া এই ঘটনাটি প্রতিদিন হয়।  জোয়ার ও ভাটার সময় সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন জানে।  এই অদ্ভুত প্রাকৃতিক ঘটনার কারণে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত সারা বিশ্বে বিখ্যাত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad