নৃশংস! ছেলের মাথা কেটে রান্না করে খেলেন মা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মে: মায়েরা সন্তানের কাছে ঈশ্বরের চেয়ে কম নয়। এমনকি মায়েরা তাদের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হয়। সন্তানের জন্য মায়েরা সবচেয়ে বড় দুর্যোগের সাথেও লড়াই করেন, তাদের ওপর কোনও আঁচ আসতে দেয় না। কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমন এক মা-কে নিয়ে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শুধু তার ছেলেকে মেরেই ফেলেননি, তার মাথাও রান্না করে খেয়েছেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে তার মানসিক অবস্থা হয়তো ঠিক নেই, তবে এটি আরও আশ্চর্যের বিষয় যে পরীক্ষায় তাকে একেবারে ফিট পাওয়া গেছে। তার মানে তার মানসিক অবস্থা একেবারেই ঠিক এবং একটা ছোট্ট বিষয়ের জন্য এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি মিশরের। সম্প্রতি এই মহিলাকে আদালতে হাজির করা হয়। হানা মোহাম্মদ হাসান (২৯) স্বীকার করেছেন যে, তিনি শিশুটির সাথে নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছেন। হাসান স্বীকার করেন, তিনি তার ৫ বছরের শিশুকে হাতুড়ি দিয়ে তিনবার আক্রমণ করেছেন। এরপর তার শরীর টুকরো টুকরো করেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার সন্তানের মাথা ওভেনে রান্না করেও খেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির কাকা আবু শালবি বাড়িতে পৌঁছে একটি বালতিতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশ পড়ে থাকতে দেখেন। হানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি কিছু জানায়নি, তখন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
পুলিশ বাড়িতে পৌঁছে শিশুটির অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায়। তারা হানাকে আটক করলেও জিজ্ঞাসাবাদে হানা কিছু বলতে রাজি হননি। পরে পুলিশ তাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মুখ খোলেন।
হানা জানান, সম্প্রতি তার বিয়ে ভেঙে গেছে। তিনি তার ছেলেকে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে দিতে চাননি। এমনকি তিনি আইনি লড়াইও করতে চাননি। তিনি সবসময় চেয়েছিলেন ছেলে তার সাথে থাকুক, কিন্তু এর মধ্যে তার প্রাক্তন স্বামী ছেলের সাথে যোগাযোগ করছিলেন। তার সাথে দেখা করতে আসতেন, ছেলেও তার সাথে মিশতো। প্রথম দিকে পুলিশ ভেবেছিল তার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে পারে, কিন্তু পরীক্ষার পর দেখা গেছে, তিনি একদমই ভালো, তার কোনও ধরনের রোগ ছিল না। শুধু তাই নয়, খুন করার সময় কোনও ওষুধ খায়নি, অর্থাৎ তিনি যা করছিলেন সব কিছু ভেবেচিন্তে।
হানার প্রাক্তন স্বামী বলেন, "আমি যখন পৌঁছলাম তখন ভয়ানক দৃশ্য ছিল। আমি আমার ছেলেকে দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাকে পরিস্থিতিও দেখতে দেয়নি। তার বাবার জমি ছিল বলে আমরা ৪ বছর আগে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলাম। তিনি বলেন পরিবারের সাথে থাকতে চাইলে আমাকে আমার বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে। আমি তার বাড়ি ছেড়ে আমার পরিবারের সাথে এসেছি। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম বলে ডিভোর্সের পরও তার সাথে মিটমাট করার চেষ্টা করেছি। আমি নিয়মিত আমার ছেলের দেখাশোনা করতাম, তার জন্য জামাকাপড় কিনতাম, তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতাম, কিন্তু সে আমার ছেলেকে আমার কাছ থেকে দূরে রাখতে চাইত, আমাকে ঘৃণা করত। শিশুর মনেও ঘৃণা তৈরি করছিল।:
No comments:
Post a Comment